আইপিএল ফাইনালে সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে এক রকম সংশয় ছিল। ফিট হলেই খেলার কথা ছিল আন্দ্রে রাসেলের! কিন্তু টসের পর মরগান জানালেন, অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অর্থাৎ একাদশে থাকছেন সাকিব। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে তারা।
কলকাতা অধিনায়ক ইয়ন মরগান আরও জানিয়েছেন, উইকেট তার কাছে ভালো মনে হয়েছে। কিন্তু শিশির একটা প্রভাব রাখতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কলকাতার জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৃতীয় শিরোপা উঁচিয়ে ধরার। পরিসংখ্যানও কথা বলছে তাদের হয়ে। আইপিএলের ফাইনালে দলটি যতবারই উঠেছে, ততবারই শিরোপা ঘরে তুলেছে। দুইবার ফাইনাল খেলে দুবারই জিতেছে শিরোপা। ফলে কেকেআর তৃতীয় শিরোপা জয়ের খোঁজে মাঠে নামছে।
বিপরীতে ফাইনাল হারের রেকর্ড চেন্নাইয়ের চেয়ে বেশি কারও নেই টুর্নামেন্টে। এবারসহ নবমবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে উঠেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। কিন্তু শিরোপা জিতেছে মাত্র তিনটি। তাই তাদের লক্ষ্য চতুর্থ শিরোপা।
ফাইনালে চেন্নাই-কলকাতা এর আগেও মুখোমুখি হয়েছিল। শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে দল দুটি খেলেছিল ২০১২ সালে। সেবারের লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের হৃদয় ভেঙে উৎসব করেছিল কলকাতা। এবারের লড়াই জিতবে কে, জানা যাবে আজই!
কলকাতা একাদশ: ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শুবমান গিল, নিতিশ রানা, রাহুল ত্রিপাঠি, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), দিনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), সাকিব আল হাসান, সুনীল নারিন, শিবম মাবি, বরুণ চক্রবর্তী ও লকি ফার্গুসন।
চেন্নাই একাদশ: ঋতুরাজ গায়কোয়ার, ফাফ দু প্লেসি, মঈন আলী, রবিন উথাপ্পা, আম্বাতি রাইয়ুদু, রবীন্দ্র জাদেজা, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), ডোয়াইন ব্রাভো, শার্দুল ঠাকুর, দীপক চাহার ও জশ হ্যাজেলউড।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিটা ভালো হলো না বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
আগামী বছরের শুরুতে মাঠে গড়াবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনার প্রভাবে আকবরদের উত্তরসূরীদের ঠিকমতো প্রস্তুতি-ই নেওয়া হয়নি। যার প্রভাব পড়লো শ্রীলঙ্কা সফরে।
ডাম্বুলায় শুরুতে টস জিতে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করে লঙ্কানরা। সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন পাওয়ান পাথিরাজা। এছাড়া ২৮ রান করেছেন সাদিশা রাজাপাকশে, ২৯ রান আসে রাভিন ডি সিলভার ব্যাট থেকেও।
৫৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রিপন মন্ডল। ৪৩ রানে দুটি নিয়েছেন আশিকুর জামান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন গোলাম কিবরিয়া, মেহেরব, নাইমুর ও আরিফুল।
জবাবে আইচ মোল্লার ৮৬ রানের দারুণ এক ইনিংসের পরেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। মূল কারণ অবশ্য বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতা। টপের ব্যাটসম্যানরা যেখানে ৯, ১৬, ০ রানে ফিরেছেন। একার লড়াইয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন শুধু আইচ। আরিফুল সঙ্গী হওয়ার চেষ্টা করেও ৩৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
শুধু আইচ মোল্লার কারণেই ১৮৬ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে যুব দল। ৪৬.২ ওভারে যুব দলের এই ব্যাটার ফিরলে সব আশা শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের। আইচের ৯৩ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার।
বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে সফল ছিলেন ত্রাভিন ম্যাথুস। ২৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি নিয়েছেন শেভন দানিয়েল।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার কাছে ৪-০ তে উড়ে গেছে প্যারাগুয়ে। হারের ঘণ্টা খানেক পরেই দলটির আর্জেন্টাইন কোচ এদুয়ার্দো বেরিজ্জো পান দুঃসংবাদ। তাকে ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে প্যারাগুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় এই দলটির দায়িত্ব সামলেছেন বেরিজ্জো। কিন্তু এই হারের পর তার ওপর আর আস্থা রাখতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ১০ দলের লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে এখন আটে অবস্থান করছে তারা।
প্যারাগুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, ‘আমরা তার সাফল্য কামনা করি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কোচিং স্টাফের নতুন সদস্যের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।’
কলম্বিয়ান হুয়ান কার্লোস ওসোরিও পদত্যাগের পর ২০১৯ সালে প্যারাগুয়ের দায়িত্ব পান বেরিজ্জো। এই সময়ে ৫১ বছর বয়সী কোচ জয় পান ৭টিতে। বিপরীতে তার অধীনে প্যারাগুয়ে ড্র করেছে ১৩টি, হেরেছে ১১টি ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারই প্রথম আগমন পাপুয়া নিউ গিনির। তবে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের কাছে মোটেও অচেনা নয়! একটা সময় আইসিসি ট্রফিতে নিয়মিতই তাদের মুখোমুখি হতে হতো বাংলাদেশকে। সেই দলটিকে বিশ্বকাপেও পাচ্ছে মাহমুদউল্লাহরা।
পাপুয়া নিউগিনি খুব ভালো করেই জানে তাদের কঠিন মুহূর্তে ফেলবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে টাইগারদের কোয়ালিটি স্পিন বোলিং! তবে দলটির অধিনায়ক আসাদ ভালা যেভাবে আত্মবিশ্বাসীর সুরে কথা বলেছেন, তাতে মনে হতেই পারে এই স্পিন বোলিং আক্রমণ সামলানোর উপায়টা জানা আছে তাদের। তিনি বলেছেন, ‘জানি আমাদের বিশ্বমানের স্পিনারদের মুখোমুখি হতে হবে। তবে আমরা অনুশীলনে সর্বোচ্চটা দিয়ে যাচ্ছি। মূল যে বিষয় সেটা হলো প্রয়োগ আর নিজেদের প্রকাশটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। আমাদের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হবে। আর উপভোগের মন্ত্রটা জানতে হবে।’
পাপুয়া নিউগিনির গর্বের জায়গা হলো তাদের ফিল্ডিং। দলটির অধিনায়কও গর্বের সঙ্গে তা স্বীকার করেন। কিন্তু অন্য বিভাগেও যে ভালো করা প্রয়োজন, এর তাগিদ অনুভব করছেন তিনি, ‘আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে আমরা খুব গর্ব করি। তবে আমাদের অন্য বিভাগেও ভালো করতে হবে। যাতে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখাতে পারি। আমরা সবকিছু উপভোগ করতে চাই। সবকিছু মাঠ ত্যাগ করার সময় সেখানেই রেখে যেতে চাই। কিন্তু নিজের দেশকে আমরা প্রতিনিধিত্ব করবো হাসিমুখে।’
বৈশ্বিক মঞ্চে এলেই ভারতের সামনে নড়বড়ে হয়ে যায় পাকিস্তান। অতীত পরিসংখ্যানই বলে এমন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনো জয়ের মুখ দেখেনি তারা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে তাই ‘ভয়ডরহীন’ মনোভাব নিয়ে খেলতে বলেছেন জাভেদ মিঁয়াদাদ।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ২৪ অক্টোবর মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। পাকিস্তানের আর সবার মতো আলাদা উত্তেজনা কাজ কাজ করছে সাবেক পাক অধিনায়ক মিঁয়াদাদেরও। তাই ছন্দে থাকতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প দেখেন না তিনি, ‘টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম রাখতে চাইলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ওরা শক্তিশালী সন্দেহ নেই, শীর্ষস্থানীয় অনেকগুলো খেলোয়াড় আছে।’ তবে ভারতকে হারাতে হলে বাবরদের মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার কথা বলেছেন মিঁয়াদাদ, ‘আমরা যদি ভয়রডরহীন ও চাপ মুক্ত হয়ে খেলতে পারি। পাশাপাশি সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করে, তাহলে ওদের আমরা অবশ্যই হারাতে পারবো।’
মিঁয়াদাদ আরও বিশ্বাস করেন যে, এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। তবে সেজন্য কিছু শর্তপূরণ প্রয়োজন, ‘অনেকে মনে করে টি-টোয়েন্টিতে একজন বা দুজন ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে বিষয়টা এমন নয়। সবাই যে কোনওভাবে যদি অবদান রাখতে পারে, তাহলেই বিজয়ী হওয়া সম্ভব।’
প্রশ্নবিদ্ধ রেফারিং নিয়ে মেসির সরব হওয়া নতুন নয়। তাও আবার রেফারি যদি হয়ে থাকেন ব্রাজিলের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের। সর্বশেষ শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর-আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেফারি ছিলেন তেমনই একজন- সাম্পাইও। তার রেফারিং নিয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেছেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।
ইন্সটাগ্রামে মেসি লিখেছেন, ‘কঠিন ম্যাচ ছিল, খেলাটাও হয়েছে কঠিন। তীব্র বাতাসের সঙ্গে প্রতিপক্ষও গভীরে খেলেছে, আমাদের সেভাবে জায়গাই দেয়নি। এই রেফারি (ব্রাজিলিয়ান) সবসময় এমন করে, যখন সে আমাদের ম্যাচ পরিচালনা করে। মনে হয় যেন কোন উদ্দেশ্য নিয়েই সে এই কাজটা করে। শেষ পর্যন্ত ভালো হয়েছে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়েছি এবং আমাদের লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছে গেছি।’
মেসির কথাতেই এটা প্রমাণিত, ব্রাজিলিয়ান রেফারির কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ আছে তার। এর কারণ রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ম্যাচটায় প্রভাব ফেলে দিয়েছিল প্রায়। ৪৩ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনা জিতেছে ঠিকই। কিন্তু ৬৩ মিনিটে পেরু পেনাল্টি মিস না করলে পয়েন্ট হারাতে হতো তাদের। আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ধাক্কায় পেরুর ফুটবলার ফারফান বক্সের মধ্যে পড়ে গেলে রেফারি সাম্পাইও পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন।
তার আগেও ব্যবধান দ্বিগুন হতে পারতো আর্জেন্টিনার। ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হেডে আর্জেন্টিনা জাল কাঁপালেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। হয়তো এসব কথা ভেবেই রেফারিং নিয়ে সমালোচনা করেছেন মেসি।
Source: https://www.banglatribune.com/707328/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE