পুজা নিয়ে এবার ভারতীয় পত্রিকায় বিশেষ কলাম লিখেছেন বাংলাদেশের আলোচিত ও সমালোচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় এ কলাম প্রকাশ হয়।
আলোচিত সেই নিবন্ধে জয়া আহসান বলেন, কলকাতা আমার প্রাণের শহর। ভালবাসার শহর। পুজোয় সেই চেনা শহর যেন একটু অচেনা হয়ে যায়। কোনও প্রিয় মানুষ আচমকা সেজে উঠলে যেমন অবাক লাগে, শারদ-কলকাতাও যেন তা-ই। চার দিকে কত আলো, মাইকে অনবরত গান, পথঘাট ছেয়ে থাকা ছাতিমের মিষ্টি গন্ধ। রাতারাতি আরও সুন্দরী কলকাতা। অনেকগুলো পুজোই এখানে কাটিয়েছি। এ বারও আমি কলকাতায়। পুজোর চারটে দিন নিজের মতো করে কাটাব।
তিনি বলেন, আমার পুজো মানেই আড্ডারূপেণ সংস্থিতা! বন্ধুদের বাড়ি যাওয়া, মন খুলে কথা, হাসাহাসি। পুজোয় বেশ কিছু বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার নেমন্তন্ন ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছি। তাই কোথায় আড্ডা দেব, তা নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করতে হচ্ছে না। কিন্তু পেটপুজো ছাড়া আবার আড্ডা হয় নাকি। আমি খুবই খাদ্যরসিক। অভিনয় করলেও খাওয়াদাওয়ায় কোনও রকম বিধিনিষেধ নৈব নৈব চ। যখন যা ইচ্ছে, তাই খেয়ে নিই। পুজোতেও ভালমন্দ খাবার চাই-ই চাই! যে দিন যে বন্ধুর বাড়িতে ভালমন্দ রান্নাবান্না হবে, সে দিন সেখানেই গিয়ে হাজির হব। তবে দিনভর যা-ই খাই, যতই খাই, শেষ পাতে মিষ্টি লাগবেই আমার।
খাওয়া আর আড্ডা তো হল। এ বার আসি সাজের কথায়। উৎসবের দিনগুলোয় শাড়িই আমার প্রিয় সাজ। কিন্তু ইচ্ছে হলে অন্যান্য পোশাকও পরি। সাজগোজ করব, টইটই ঘুরব শহরের এ দিক-সে দিক। মন ভরে দেখে নেব কলকাতাকে।
জয়া আহসান বলেন, ‘করোনা মহামারিকে সঙ্গী করে এই আমাদের দ্বিতীয় পুজো। আনন্দ আছে। আছে মন খারাপও। তবে মা এসেছেন। এবার একটু একটু করে ঠিক সব কিছু আগের মতো হবে। আমরা আবার প্রাণ খুলে হাসতে শিখব। বাঁচতে শিখব। এই পুজোতে এটাই আমার মায়ের কাছে চাওয়া।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশের চেয়ে কলকাতার ছবির কাজেই ব্যস্ত বেশি তিনি। কাজ করছেন বেশ মনোযোগ দিয়ে। এর মধ্যেই তিনি আবার অন্যভাবে আলোচনার খোরাক হলেন। জয়া আহসান বৈবাহিক সম্পর্কে কারও সঙ্গেই আবদ্ধ নন। ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘রাজকাহিনি’তে জয়া আহসান অশ্লীল ডায়লগ দিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। তবে তার ওই চরিত্রটি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যাপক প্রশংসা করেছে। অশ্লীল ওই দৃশ্য ও সংলাপগুলোকে ‘সাহসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে তিনি বাংলাদেশের দর্শকদের একহাত নেন। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া আহসান বাংলাদেশের দর্শকদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে বাংলাদেশের রাজকাহিনী সিনেমার মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব নয়। সেখানে সিনেমা দর্শকদের রুচি একেবারেই আলাদা। যেখানে কলকাতার দর্শকদের এ ধরনের ছবি দেখার রুচি নিজেরা নানা ঘরানার বিভিন্ন দেশের ছবি দেখে তৈরি করে নিয়েছে; সেখানে বাংলাদেশের দর্শকরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
Source: https://www.jugantor.com/entertainment/474948/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8