প্লে-অফের দুয়ারে সাকিবদের কলকাতা – Bangla Tribune

কলকাতা নিউজ

প্লে-অফের চতুর্থ দলটির জন্য অপেক্ষায় ছিল আইপিএল। কাগজে-কলমে সেই কাজটি সেরে রাখলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাঁচা মরার ম্যাচে মোস্তাফিজদের রাজস্থান রয়্যালসকে ৮৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে সাকিবদের দল। এখন মুম্বাইয়ের হাতে এক ম্যাচ বাকি থাকলেও জটিল যে হিসেব-নিকেশ দাঁড়িয়েছে। প্লে-অফের জন্য সেটি প্রায় অসম্ভবই! শুধু জিতলেই হবে না, রান হিসেবে ১৭১ রানের ব্যবধানে জিততে হবে মুম্বাইকে। আর তাড়া করতে গেলে নেট রেটের ব্যবধান তারা ঘোচাতে পারবে না।

ফলে প্লে-অফ নিশ্চিতের সব উপকরণ-ই আছে কলকাতার। কিন্তু ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা হওয়ায় তাদের অবস্থানটা এখন অনানুষ্ঠানিক!  

শারজায় শুরুতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছিল সাকিবরা। পাওয়ার প্লেতে শ্লথ থাকলেও সময়ের সঙ্গে রান উঠাতে থাকেন শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। এই দুজনের ব্যাটেই ওপেনিংয়ে উঠে ৭৯ রান। আইয়ার ৩৫ বলে ৩৮ রানে ফিরলেও হাফসেঞ্চুরি করেছেন গিল। ৪৪ বলে ৫৬ রানে ফিরেছেন। তাদের ভিত গড়ে দেওয়ার পরেই কলকাতা ৪ উইকেটে পায় ১৭১ রান।

রাজস্থানের হয়ে মোস্তাফিজ ব্যর্থ ছিলেন পুরোপুরি। ৪ ওভারে উইকেটশূন্য তো ছিলেনই, দিয়েছেন ৩১ রান। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস মরিস, চেতন সাকারিয়া, রাহুল তেওয়াতিয়া ও গ্লেন ফিলিপস।

জবাবে রাজস্থানকে শুরুর ওভারেই নড়বড়ে করে ছাড়েন সাকিব। জশ্বসী জসওয়ালকে তৃতীয় বলে বোল্ড করেছেন। এর পর তাসের ঘরে পরিণত হয় রাজস্থান। ৩৫ রানেই বিদায় নেন ৭ ব্যাটসম্যান। রাজস্থানকে কোণঠাসা করে রাখবার পেছনে বড় অবদান শিবম মাবির। ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনি। এছাড়া ১৮ রানে তিনটি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। সাকিব ১ ওভারে ১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। ১৪ রান দিয়ে একটি নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তীও।

রাহুল তেওয়াতিয়া ৩৬ বলে ৪৪ রান করায় স্কোরটা দেখতে ভদ্রস্থ হয় রাজস্থানের। ১৬.১ ওভারে তারা শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ৮৫ রানে।

প্রথমার্ধের দুই গোলে বেলজিয়াম স্বপ্ন দেখছিল ফাইনালের। কিন্তু ফ্রান্স সেই স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত সত্যি হতে দেয়নি। বিরতির পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। শুরুর দুই গোল তো শোধ দিয়েছেই। শেষ মুহুর্তে তৃতীয় গোল করে নেশন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দিদিয়ের দেশমের দল। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ফ্রান্স ৩-২ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়ামকে। আগামী ১১ অক্টোবর ফাইনালে ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ স্পেন।

আলিয়াঞ্জ এরিনাতে বল দখলে দুই দল প্রায় সমানে সমান। ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের সুযোগ পেয়েছে। পাল্টাপাল্টি আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু গোলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথমেই এগিয়ে গেছে বেলজিয়াম। প্রথম গোল এসেছে ৩৭ মিনিটে।

বাঁম প্রান্ত দিয়ে কারাসকো বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। গোলকিপার জায়গা থেকে নড়ার সুযোগ পাননি। বল তার ডান পাশ দিয়ে জড়ায় জালে।

তিন মিনিট পর রোমেরো লুকাকু ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে দুরূহ কোনা দিয়ে জাল কাঁপান এই স্ট্রাইকার। একজন ডিফেন্ডার চেষ্টা করেও তাকে আটকাতে পারেননি।

৪৪ মিনিটে হ্যাজার্ডের জোরালো শট গোলকিপার কোর্তোয়া তালুবন্দি করে আর ব্যবধান বাড়াতে দেননি। যদিও একটু পর এমবাপ্পের জোরালো শট বাইরের জাল কাঁপায়। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে ফ্রান্স বিরতির পর ম্যাচে ফিরে আসে।

৬২ মিনিটে এমবাপ্পের পাশে করিম বেনজেমাসহ চার ডিফেন্ডার ঘিরে দাঁড়ালেও দারুণ নিচু শটে গোল করে ব্যবধান কমান তিনি। পাঁচ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে ফ্রান্স।

৬৭ মিনিটে গ্রিজমানকে বাধা দেয় বেলজিয়ামের একজন ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে এমবাপ্পে জোরালো শটে গোল করেন। বেলজিয়াম আবারও ৭৩ ও ৮৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পায়।

৭৩ মিনিটে ডি ব্রুইনের শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। আর ৮৭ মিনিটে কারাসকোর নিচু ক্রসে রোমেরো লুকাকু প্লেসিং করে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোলের বাঁশি বাজেনি।

৯০ মিনিটে পল পগবার ফ্রি-কিক ক্রস বারের কোনায় লেগে প্রতিহত হয়। তবে একই মিনিটে ফ্রান্স তৃতীয় লক্ষ্যভেদ করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। হেরেনান্দেজ বক্সের প্রান্ত থেকে জোরালো শটে জাল কাঁপালে দলের ফাইনাল নিশ্চিত হয়।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। স্বাগতিকদের কাছে দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম হার দেখলেও ফাইনালে খেলার আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশ কোচ অস্কার ব্রুজন।

মালেতে বৃহস্পতিবার পুরো ম্যাচে মালদ্বীপ দাপট দেখিয়েছে। গোলের সুযোগও বেশি পেয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ রক্ষণ সামলিয়ে খেলার চেষ্টা করেও বিরতির পর আর জাল অক্ষত রাখতে পারেনি। প্রচুর ফাউল করে খেলার প্রবণতা ছিল। এর জন্য হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে ৫টি। একপর্যায়ে দলকে কিছুটা ক্লান্তই মনে হয়েছে।

 তাই তো লাল-সবুজ দলের কোচ অস্কার ব্রুজন সংবাদ সম্মেলনে এসে মালদ্বীপকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন,‘ তারা আজ  আমাদের চেয়ে ভালো ছিল। আমাদের কোনোও কিছুই কাজ করেনি। আমি ভেবেছিলাম ছেলেরা ৯০ মিনিট লড়াই করবে। কিন্তু দুই দলের মূল পার্থক্য এনার্জি; এ দিকটায় মালদ্বীপ আমাদের চেয়ে অনেক অনেক ভালো ছিল।’

ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে বাংলাদেশকে পরের ম্যাচে নেপালকে হারাতেই হবে। সেই ম্যাচটি হবে ১৩ অক্টোবর। ব্রুজন তাই আশা ছাড়ছেন না,‘৭২ ঘণ্টা পর পর আমাদের একটা করে ম্যাচ খেলতে হয়েছে। আমাদের পরের ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে ১৩ অক্টোবর। ওই ম্যাচে আমরা সতেজ হয়ে ফিরব। আশা করি, যে এনার্জি আজ  আমাদের ছিল না, নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে থাকবে। এখনও আমাদের সুযোগ আছে ফাইনাল খেলার।’

মালদ্বীপে দুই গোলে ম্যাচ জিতেছে। কিন্তু যেভাবে স্বাগতিকরা খেলেছে তাতে করে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। বাংলাদেশ গোল হজমের পর ফর্মেশন বদল করে সফল হতে পারেননি।  ব্রুজন বলেছেন,‘মালদ্বীপ এগিয়ে যাওয়ার পর আমরা ফরমেশনে বদল এনেছিলাম। একটু আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আক্রমণভাগে তারা আমাদের চেয়ে স্বচ্ছ্ন্দ্য ছিল। সত্যি বলতে তারা আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত। তবে প্রথমার্ধে তারা একটা সুযোগও তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তারা যে গতি দেখিয়েছে, ম্যাচটা পুরোপুরি আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায়।’

এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল ক্লান্ত। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ক্লান্তির প্রসঙ্গে ব্রুজন অকপটে বললেন,‘প্রথম ৫০ মিনিট…আমি আসলেই মনে করি ম্যাচটা ছিল ফিফটি-ফিফটি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার উপায় আমাদের জানা ছিল না। গত ১৪ দিনে আমরা দেড় দিনও বিশ্রাম পাইনি। বলতে পারি, অনুশীলনে ছেলেদের এনার্জি আগের মতো ছিল না। ক্লান্ত ও অবসন্ন ছিল তারা। তবে নেপাল ম্যাচের আগে আমরা যথেষ্ট সময় পাবো।’

ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ তো জিততেই হবে। পাশাপাশি চেয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলের দিকেও।

শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ১০জন নিয়েও ড্র করেছিল বাংলাদেশ। প্রত্যাশা ছিল স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষেও লড়াই করবে। কিন্তু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত পয়েন্ট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে আটকে রাখতে পারলেও বিরতির পর আত্মসমর্পণ করেছে। স্বাগতিকদের কাছে ম্যাচ হেরেছে ২-০ ব্যবধানে।

তাতে তিন ম্যাচে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। টেবিলে আগের ৪ পয়েন্ট নিয়েই অবস্থান করছে। এখন ফাইনালে উঠতে হলে আগামী ১৩ অক্টোবর নেপালের বিপক্ষে জিততেই হবে। 

মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাগতিক মালদ্বীপকে কোনও গোল দিতে দেয়নি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের আক্রমণ বেশ ভালোভাবে সামাল দিয়েছে জামাল-তপুরা। তবে এই ম্যাচে অতিমাত্রায় ফাউলের কারণে লাল-সবুজ দলের একাধিক খেলোয়াড়কে দেখতে হয়েছে হলুদ কার্ড। প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে শুরুর দিকে সুযোগ পেয়েছিল অস্কার ব্রুজনের দলই। ২ মিনিটে বিপলু আহমেদের শট সরাসরি গোলকিপার মোহাম্মদ ফয়সালের তালুতে জমা পড়ে। ৯ মিনিটে আবারও বিপলুর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় দলকে। ২২ মিনিটে জামালের কর্নার থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইর থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু লক্ষ্যে থাকেনি সেটি। এরপর থেকে মালদ্বীপ গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠলেও সফল হতে পারেনি।

৪৪ মিনিটে আলী আশফাকের ফ্রি-কিক থেকে আলী ফাসিরের প্লেসিং ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। যোগ করা সময়ে আবার আলী আশফাকের ফ্রি-কিক গোলকিপার জিকো ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।

তবে বিরতির পর আর স্বাগতিকদের আটকে রাখা যায়নি। ৫৫ মিনিটে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। হুসেইন নিহানের হেড থেকে হামজা মোহামেদ দারুণ বাইসাইকেল কিকে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। গোলকিপার জিকো কিছুই করতে পারেননি। এক গোলে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনে। মাঠে নামেন জুয়েল রানা, মাহবুবুর রহমান সুফিল ও সুমন রেজা। এতে করে রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা ছিল। তার পরেও হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

বরং ৭৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় মালদ্বীপ। বিপজ্জনক অঞ্চলে আগুয়ান নাইজ হাসানকে ফেলে দেন সোহেল রানা। পেনাল্টি পেলে অভিজ্ঞ আলী আশফাক সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন। এনিয়ে সাফে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় লক্ষ্যভেদ ৩৬ বছর বয়সী আশফাকের।

৭৫ মিনিটে আলী ফাসিরের শট গোলকিপার জিকো রুখে দিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি। তবে শেষের দিকে চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে মতিনের শট পোস্টের সামান্য বাইর দিয়ে গেলে হতাশই হতে হয়। শেষ পর্যন্ত ব্রুজনের অধীনে লাল-সবুজ দল প্রথম হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাগতিক মালদ্বীপকে কোনও গোল দিতে দেয়নি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের আক্রমণ বেশ ভালোভাবে সামাল দিলেও বিরতির পরই গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। শেষ খবর পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে জামাল-তপুরা। 

যদিও মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে শুরুর দিকে সুযোগ পেয়েছিল অস্কার ব্রুজনের দলই। একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। ৪-১-৪-১ ছকে সোহেল রানা ও রহমত মিয়া শুরু থেকে খেলছেন। ২ মিনিটে বিপলু আহমেদের শট সরাসরি গোলকিপার মোহাম্মদ ফয়সালের তালুতে জমা পড়ে। ৯ মিনিটে আবারও বিপলুর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। ২২ মিনিটে জামালের কর্নার থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইর থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু তা লক্ষ্যে থাকেনি। এরপর থেকে মালদ্বীপ গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।

৪৪ মিনিটে আলী আশফাকের ফ্রি-কিক থেকে আলী ফাসিরের প্লেসিং ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। যোগ করা সময়ে আলী আশফাকের ফ্রি-কিক গোলকিপার জিকো ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।

শেষ পর্যন্ত বিরতির পর গোল পায় স্বাগতিক দল। ৫৫ মিনিটে হুসেইন নিহানের হেড থেকে হামজা মোহামেদ বাইসাইকেল কিকে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। গোলকিপার জিকো কিছুই করতে পারেননি।

আবাহনী থেকে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন নাজমুল হাসান। শুধু তাই নয় টানা চতুর্থবারের মতো বিসিবির সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আবাহনী ক্লাবের পক্ষ থেকে নব নির্বাচিত বোর্ড সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাজী ইনাম আহমেদ।

বুধবার ৫৭ ভোটের মধ্যে ৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন পাপন। প্রথম দফায় ২০১২ সালে সরকারের মনোনয়নে বিসিবিতে পরিচালক হয়ে এসেছিলেন। ২০১৩ সালে অক্টোবরের নির্বাচনে পরিচালক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবার ১৫ প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছেন তিনি। এনিয়ে টানা তৃতীয়বার পূর্ণ মেয়াদের জন্য পরিচালক নির্বাচিত হলেন পাপন।

ক্লাব ক্যাটাগরিতেই সবচেয়ে বেশি লড়াই হয়েছে। এই ক্যাটাগরি থেকে সবচেয়ে বেশি পরিচালক নির্বাচিত হয়ে এসেছে বিসিবির। ২৫ পরিচালকের ১২ জনই ক্লাব ক্যাটাগরির। এদিকে জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ইনাম আহমেদ। এনিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। 
 

Source: https://www.banglatribune.com/705981/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE