#কলকাতা: কলকাতা সহ রাজ্যের বড় শহরগুলিতে দূ্ষণ কমাতে ই-পরিবহণের ওপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই গত তিন দিন ধরে চলা ই-পরিবহণ মেলাতে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে নানা চেষ্টা করা হল। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ই-অটো। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই চলাচল করে অটো। বহু ক্ষেত্রেই অটো থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এবার সেই পুরনো জ্বালানির অটো বদলে ফেলে নয়া ই-অটো আনতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা আলোচনা সেরেছেন। শীঘ্রই অটো ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নিয়ে হবে আলোচনা। পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিজেও ই-অটো মডেল দেখেছেন। নিউটাউন-সল্টলেক সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় বসানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক চার্জিং স্টেশন। সেখানেই চার্জ করার সুবিধা থাকবে। আর এই অটো চললে দূষণের মাত্রা শূন্যতে এসে ঠেকবে। তাই ই-অটোতে জোর দিচ্ছে রাজ্য। কলকাতা শহরে দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসা world economic forum এর।
ইলেকট্রিক বাস ও ফেরি ব্যবস্থার কারণে কমেছে দূষণ।আগামী দিনে দূষণ কমাতে এই ব্যবস্থা ভীষণ কার্যকরী।দিল্লি রাজধানীতে ক্রমশ বাড়ছে দূষণ। সেখানে কলকাতার এই উদ্যোগের প্রশংসা৷ রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েক বছরেই শহরের রাস্তায় নামতে চলেছে আরও ১০০০টি পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক বাস। সেগুলি চলবে কলকাতা ও নিউটাউনের বিভিন্ন বাস ডিপো থেকে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে বাসগুলি। বর্তমানে কলকাতায় একাধিক বৈদ্যুতিক বাস বা ই-বাস চলে। গত তিন বছর থেকে শহরে নামা ই-বাস সাধারণ মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এমনকী খুব প্রশংসিত হয়েছে বিদেশের দরবারে।
তাই পরিবহন ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও বেশি সংখ্যক পরিবেশবান্ধব এই বাস নামাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতর। ইতিমধ্যেই চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ড তৈরি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে এই ধরনের বাস বাড়ালে পরিকাঠামোগত দিক থেকে কোনও সমস্যা হবে না। পাশাপাশি সোলারাইজড বাস ডিপো তৈরি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পরিবহন দপ্তরের তরফে।একদিকে শহরের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অন্যদিকে বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণে বছর খানেক আগে কলকাতায় চালু হয়েছিল ইলেকট্রিক বাস। যা শুরুতেই জনপ্রিয় হয় কলকাতায়। কলকাতার সেই ই-বাস পরিষেবা আন্তর্জাতিক দরবারে স্বীকৃতিও জিতে নেয়। আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ এজেন্সির ২০২০-এর গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিকল আউটলুক (জেভো) রিপোর্ট প্রকাশিত হয় প্যারিসে। দেশের একমাত্র শহর হিসাবে কলকাতার ই-বাস পরিষেবা প্রশংসিত হয়েছে ওই রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে এত ব্যবধানে কেন মমতার জয়, ‘কারণ’ জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
চিনের শেনঝেন, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ও চিলির সান্তিয়াগোর সঙ্গেই চতুর্থ শহর হিসাবে উঠে এসেছে কলকাতা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক শহরের কাছেই আদর্শ হয়ে উঠেছে কলকাতা।পাশাপাশি রাজ্য বিদ্যুৎদপ্তরও ইতিমধ্যেই ইলেকট্রিক গাড়ি (ই-কার) পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছে। বিদ্যুৎদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম রোজ বাড়ছে। ফলে গাড়ি চালানোর খরচও বাড়ছে রোজ। সেই সঙ্গে রয়েছে দুষণ। সব দিক মাথায় রেখে ওই দফতর ব্যাটারিচালিত গাড়ি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছিল।
Source: https://bengali.news18.com/news/kolkata/e-auto-may-start-in-kolkata-shortly-sb-669157.html