তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে চার বছর। তাতে সাজা ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু সেই রায়কে মেনে নিতে পারেনি অভিযুক্ত। তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। তার প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাবাস এবং আর্থিক জরিমানার সাজা বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এই রায় দিয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, সালটা ২০১৭। নারকেলডাঙা এলাকায় তিন বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করে রাজু রায় নামে যুবক। এই অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। বিচারপর্বে শিয়ালদহ আদালত অভিযুক্ত রাজুকে যাবজ্জীবন কারাবাস এবং ২ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা করে। আর ওই শিশুটিকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল মামলা করে রাজু।
সেখানে রাজুর আইনজীবী জোয়েব রউফ এবং রামিজ আলম জানান, রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বয়ানে বিভ্রান্তি আছে। আর মূল প্রমাণই যথেষ্ট নয়। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত তা শুনতে রাজি হয়নি। পাল্টা সওয়ালও করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় শিয়ালদহ আদালতের রায়ের নথিও। তারপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।
তখন সরকারি কৌঁসুলি শৈবাল বাপুলি এবং বিবস্বান ভট্টাচার্য দাবি করেন, তদন্তকারীরা সঠিক তথ্য প্রমাণ পেশ করেছিলেন এবং তার ভিত্তিতেই নিম্ন আদালত সাজা দিয়েছে। এই সওয়াল–জবাব শোনার পরে বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি সামন্ত জানান, তিন বছরের শিশুটিকে স্নেহ, ভালবাসার পরিবর্তে অভিযুক্তের লালসার শিকার হয়েছে। তাই নিম্ন আদালতের বিচারক যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা দিয়েছেন। তাই আগের সাজাই বহাল রাখা হচ্ছে।
Source: https://bangla.hindustantimes.com/bengal/kolkata/kolkata-high-court-gives-verdict-for-life-imprisonment-to-child-rape-accused-31632992666932.html