বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান সাইড বেঞ্চে। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) জয় পেতে তেমন সমস্যাই হয়নি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কলকাতা।
বেঙ্গালুরু টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায়। কলকাতা মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১০ ওভার আগেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। কলকাতার জয়ের নায়ক স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ডানহাতি স্পিনার ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পেসার আন্দ্রে রাসেলের বোলিংও ছিল বিধংসী। ৩ ওভারে ৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া লোকি ফার্গুসন ২টি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ১ উইকেট পেয়েছেন।
কলকাতার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেঙ্গালুরু ছিল অসহায়। ওপেনার দেবদূত পাড্ডিকাল সর্বোচ্চ ২২ রান করেন। শ্রীকার ভারতের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। ম্যাক্সওয়েল করেন ১০। হাসেনি বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাট। কোহলি মাত্র ৫ রান করেন। ডি ভিলিয়ার্সকে প্রথম বলে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন রাসেল।
লক্ষ্য আহামরি বড় ছিল না। তবে কলকাতার ব্যাটিং ছিল জমাট। দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ভেঙ্কটেস আইয়ার শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। পাওয়ার প্লে’র সুবিধা কাজে লাগিয়ে ৬ ওভারে তুলে নেন ৫৬ রান। ব্যাটিং ধারাবাহিকতা পরবর্তীতেও ধরে রেখেছিলেন তারা। তাতে লক্ষ্যের পথে সহজেই এগিয়ে যায়। তবে ২ রানের আক্ষেপে পুড়েন গিল। ৩৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হন চাহালের বলে।
তবে আইয়ার দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৭ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪১ রান। অষ্টম ম্যাচে এটি কলকাতার তৃতীয় জয়। এর আগে টানা ম্যাচ তারা হেরেছিল তারা। অন্যদিকে বেঙ্গালুরুর এটি অষ্টম ম্যাচে তৃতীয় হার। পাঁচ জয় নিয়ে তারা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে।
এবারের আসরে শুরুর তিন ম্যাচ খেলেন সাকিব। ব্যাটে-বলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। ব্যাট হাতে করেছেন সর্বমোট ৩৮ রান, বল হাতে ৮১ রান খরচায় উইকেট শিকার ২টি। তৃতীয় ম্যাচে তো প্রথম ২ ওভারে ২৪ রান দেওয়া এউইন মরগ্যান তার হাতে আর বল দেওয়ার সাহস করেননি। ওখানেই শেষ।
পরের চার ম্যাচে তাকে পেছনে ফেলে একাদশে ছিলেন সুনীল নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডারের কাছেই আমিরাত পর্বের শুরুতে জায়গা হারালেন সাকিব। তবে নারিন আজ বোলিংয়ে তেমন দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
Source: https://www.risingbd.com/sports/news/425777