২২ আগস্ট থেকে দিল্লি-কলকাতা যাবে বিমান – Bangla Tribune

কলকাতা নিউজ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ভারতে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নতুন ফ্লাইট সূচি ঘোষণা করেছে। এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ২২ আগস্ট থেকে ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে দুই দিন রবিবার ও বুধবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। পাশাপাশি ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে তিন দিন রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বুধবার (১৮ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিমান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানের যেকোনও সেলস্ অফিস ও বিমানের কল সেন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। যাত্রীদেরকে ফ্লাইটে ওঠার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি/পিসিআর পরীক্ষা (কোভিড পরীক্ষা) করাতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ঢাকা থেকে দিল্লি ও কলকাতা রুটে  ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে বিমান।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের স্থগিত পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে। পরীক্ষাগুলো সশরীরে নেওয়া হবে। এছাড়া অন্যান্য সব পরীক্ষাও শিগগিরই শুরু হবে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ডিগ্রি পাস কোর্সের চলমান দুটি পরীক্ষা স্থগিত ছিল, এই পরীক্ষা ১ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। এ ছাড়া অন্যান্য সব পরীক্ষা শিগগিরই শুরু হবে, সময়সূচি পর্যায়ক্রমে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। তবে এখনও মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। বুধবার (১৮ আগস্ট) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন এই মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়েছেন। 

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, একটি মামলার এজাহার আমরা পেয়েছি। এটি সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে মতামত দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি দিয়ে ফেসবুক ঘেঁটে দেখতে পান- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও ফেসবুক পেইজে ‘সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশেও হতে পারে’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এই স্ট্যাটাস রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, সুনাম ও দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে বলে বাদি মনে করেন।

প্রকৃত আসামির পরিবর্তে নোয়াখালীর মোহাম্মদ জহির উদ্দিনকে আসামি করার অভিযোগ তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে গত দেড়বছরেও সেই প্রতিবেদন না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জহির উদ্দিনের আইনজীবীর করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ২০২০ সালের ১০ মার্চ এক আদেশে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার কার্যকারিতা স্থগিত করেন। একইসঙ্গে নোয়াখালীর  জহির উদ্দিন মামলার যথাযথ আসামি কিনা তা তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর খিলগাঁও থানায় ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আহসান উল্লাহ’র ছেলে মোদাচ্ছের আনছারীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর মোদাচ্ছের তার নাম-ঠিকানা গোপন করে নিজেকে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরের ছেলে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নামে পরিচয় দেয়। এরপর ওই বছরের ৩১ অক্টোবর মোদাচ্ছের জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়। সে জহির উদ্দিন নামেই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিল।

এদিকে পুলিশ তদন্ত শেষে জহির উদ্দিনসহ অপরাপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয়। এরপর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর জহিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এ অবস্থায় জহির উদ্দিন সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মূল আসামি মোদাচ্ছের আনছারীর ছবি এবং শারীরিক বর্ণনাসহ বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে জহির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে কলেজ শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ‘আত্মহত্যা’য় প্ররোচনার মামলা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৯ জুলাই সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক আবুল হাসান। সেই প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওইদিন সকালে মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন।

ওই আবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রাখেন। আজকে সন্ধ্যায় নারাজির আবেদন নাকচ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদেশ দেন আদালত। আদেশে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গুলশান দুই নম্বর এভিনিউয়ের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মুনিয়া। চলতি বছরের মার্চ মাসে ১ লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। পরে গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন।

২০০২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরের চরমানিকপুরে শামসুল হক বাবুল হত্যার দায়ে আসামি রবিউল আউয়ালকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অবিলম্বে তাকে কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধী আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

২০০২ সালের ১৭ জুলাই রাতে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল হক বাবুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার দুই হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে বাঞ্চারামপুর থানা পুলিশ রবিউল আউয়াল, তার আপন দুই ভাই ইমান আলী ও কবির হোসেনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলার বিচার শেষে নিম্ন আদালত ২০০৮ সালের ২৭ জানুয়ারি এক রায়ে রবিউল আউয়াল, তার আপন দুই ভাই ইমান আলী ও কবির হোসেন এবং প্রতিবেশী আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ের সময় রবিউল ছাড়া অপর তিন আসামি পলাতক ছিল। বাকি ১৩ জনকে খালাস দেন নিম্ন আদালত।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। আর কারাবন্দি রবিউল আপিল দায়ের করেন। এরপর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ৭ মে রবিউলসহ চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি আসামি রবিউল আপিল বিভাগে আপিল করেন।

 

Source: https://www.banglatribune.com/696614/%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8