নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা কালে কিছুদিন আগেই সচল হয়েছে শহরের মেট্রো চলাচল। আর তার মধ্যেই বিপত্তি। শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো লাইনে ধস নামল। অফিসে টাইমে লাইনের পাশে এই ধস চোখে পড়ে। প্রায় ২০০ মিটার জায়গা জুড়ে ধস থাকায় ধীর গতিতে চলাচল করছে মেট্রো।
ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ত্রিপল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিসিআর ব্রিজের পিলারও। বোল্ডার নিয়ে চলছে ধস মেরামতির কাজ। কিছুদিন আগেই উদ্বোধন হয়েছিল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো লাইনের। এই এলাকারই লাইন থেকে কয়েক মিটার দূরে ধস নামে। ইতিমধ্যেই সারাইয়ের কাজে লেগে পড়েছেন শতাধিক শ্রমিক। যাতে বড়সড় বিপদ এড়ানো যায় সেকারণেই দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: ‘বানান ভুল’, দিলীপ ঘোষকে বর্ণপরিচয় পাঠালেন কংগ্রেস নেতা
মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় কোনওরকম মন্তব্য করেনি। তবে বর্ষার মরসুমে যাতে ক্ষতি আর না হয় সেকারণেই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে মেট্রোর তরফে জানান হয়েছে, মেট্রো চলাচলে কোনও অসুবিধে হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, বিগত শনিবার রাতে প্রথম চোখে পড়ে এই ধস। এমনিতেই বেহাল অবস্থায় বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। তারমধ্যে ফাটল দেখা গিয়েছে ব্রিজে। কিন্তু সেই পিলারে কোনও কাজ এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি।
প্রসঙ্গত, শহরে মেট্রো সংখ্যা এবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ২২০টি নয়, সোম থেকে শুক্র অর্থাত্ কাজের দিনগুলিতে চলবে ২২৮টি ট্রেন। যাত্রীদের সুবিধার জন্য দুটি মেট্রোর সময়ের ব্যবধানও কমানো হল। কোভিড বিধি মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী দিয়ে মেট্রো চালানোর অনুমতি সরকার।
জুলাই থেকে মেট্রোয় যাতায়াত করছেন সাধারণ যাত্রীরা। সোম থেকে শুক্র স্বাভাবিক নিয়মেই চলে মেট্রো। শনিবার শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল, আর রবিবার বন্ধ থাকে পরিষেবা। এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি মেট্রো কর্তপক্ষ জানিয়েছে, ১৩ অগাস্ট অর্থাত্ শুক্রবার থেকে চলবে আরও চলবে ৮ অতিরিক্ত মেট্রো। সকাল ও বিকেলে অফিসটাইমে যাত্রীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। তখন দুটি মেট্রোর মধ্যে সময়ে ব্যবধান ৭ মিনিট থেকে কমিয়ে করা হল ৫ মিনিট।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
Source: https://zeenews.india.com/bengali/kolkata/kolkata-dakshineswar-noapara-metro-landslide-office-time-passengers-are-in-misery_398074.html