করোনার টিকা সংকটে ভুগছে কলকাতা। কোভিশিল্ড-এর ডোজ টান পড়ায় সংকট দেখা দিয়েছে কলকাতার গণটিকাদান কার্যক্রমে। শনিবারও কলকাতায় বন্ধ থাকবে কোভিশিল্ডের ডোজ প্রদান। এ অবস্থায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ও কলকাতার সাবেক মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের কলকতায় টিকার চরম সংকট লক্ষ্য করা গেছে। কেন এই পরিস্থিতি? তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, ‘বাংলায় করোনা বাড়ানোর চক্রান্ত চলছে। প্রধানমন্ত্রী অপদার্থ। ফ্রেরুয়ারি মাস থেকে রাজনীতি করে বেড়াচ্ছিলেন। কত ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তা নিয়ে স্ট্র্যাটেজি বানাননি। আজ পর্যন্ত ডাটা প্রকাশ করছেন না, কত ভ্যাকসিন তৈরী হবে, আমার কতো পাব’। তার কথায়, ‘কেন্দ্র যে ভ্যাকসিন দেবে, আমার সেটা দিচ্ছি। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা যাচ্ছে না। সাপ্লাই চেনটাই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে’।
জানা গেছে, কলকাতা পৌরসভার সেন্ট্রাল স্টোরে এখন একজনকে দেওয়ার মতো কোভিশিল্ডের ডোজও নেই। ৮ আগাস্ট সামান্য কিছু ভ্যাকসিন আসার কথা আছে। তবে, ১১ আগাস্টের আগ পর্যাপ্ত পর্যাপ্ত কোভিশিল্ডের ডোজ আসার সম্ভাবনা কম। সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে নিশ্চিত করে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ভারতে কিছুদিন আগেও করোনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নেয়। তবে সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা নিচের দিকে নেমেছে। বিশেষ করে দেশটিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভ্যাকিনের বিকল্প নেই বলে জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গ্রিসের ১৫৪টি স্থান দাবানলের খবর পাওয়া গেছে। নিয়ন্ত্রণহীন দাবানল গ্রাস করে নিচ্ছে একের পর এক জায়গায়। অতি তাপমাত্রায় সৃষ্ট দাবানলের কারণে ছয়টি এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। আগুনে পুড়ে মারা গেছেন দমকলকর্মীসহ দুইজন। এখন পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
রাজধানী এথেন্সের উত্তর উপকণ্ঠে ভয়াবহ আকারে জ্বলতে দেখা গেছে দাবানল। ঝুঁকি এড়াতে বাসিন্দারের দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এক দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাপদাহের কারণে দেশের দাবানল ভয়ংকর রূপ নিয়েছে বলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।
উত্তর এথেন্সে তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাস। এতে হিমশিম খাচ্ছে দমকলবাহিনী। এছাড়া ইভিয়া দ্বীপের কাছে ছিড়েয়ে পড়ছে আগুন। আর অলিম্পিকের জন্মস্থান অলিম্পিয়াতেও আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে। সরকার মন্ত্রী নিকোস হারদালিস বলছেন, ‘আমরা আরও একটি কঠিন রাত পার করেছি’।
পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে সর্বাত্মক লড়ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা। তাতেও বাগে আনা যাচ্ছে দাবানল। গাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ঘর-বাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমনটা ঘটতে পারে। দেশটির চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ছিল। এমন দাবানল আগে কখনো দেখেনি বলে ফরাসি নিউজ এজেন্সি-এএফপিকে জানান বাসিন্দরা।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিওয়া মোয়ে তুন-কে হত্যা অথবা গুরুতর আহত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদেরভিত্তিতে নিউ ইয়র্ক থেকে আটক হন মিয়ানমারের দুই নাগরিক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সু চি সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখলে নেয় জান্তা। এরপর জাতিসংঘ নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিওয়া মোয়ে তুনকে বরখাস্ত করে সামিরক সরকার। তবে তা নাকচ করে দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘও। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য ফাঁস করে চলছেন তিনি। তিনি সামিরক সরকারের একজন সোচ্চার সমালোচক হিসেবে বেশ পরিচিত।
নিজের জীবন হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে হয়তো আন্দাজ করতে পারেননি রাষ্ট্রদূত কিওয়া মোয়ে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর ষড়যন্ত্র চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এমন অভিযোগে সন্দেহভাজন মিয়ানমারের দুই নাগরিককে নিউ ইয়র্ক থেকে আটক করেছে পুলিশ। একজন ফিও হেইন হুত (২৮), অন্যজন ইয়ে হেইন জাও (২০) বছর বয়সী।
নিউইয়র্কে মার্কিন অ্যাটর্নির কার্যালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে এই দুইজন হামলাকারী নিয়োগের পরিকল্পনা করছিলেন। আমেরিকার মাটিতেই রাষ্ট্রদূতকে হামলার ষড়যন্ত্র চলে। ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের কথিত গণতান্ত্রিক সু চি সরকারকে উচ্ছেদে জোর করে ক্ষমতা দখলে নেয় জান্তা। এরপর থেকেই নাগরিকদের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সেনারা। মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ।
আবারও এক বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েলি বাহিনী। দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনের প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ বের করলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ইসরায়েলি সৈন্যদের। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে নাবলুস শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজনে শতাধিক ফিলিস্তিনি জড়ো হয়। বিক্ষুব্ধরা টায়ারে আগুন জ্বালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলি সৈন্যদের দিকে লক্ষ্য করে ঢিল নিক্ষেপ করে। এছাড়া পেট্রোল বোমা ছোড়া বলেও দাবি করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই এলাকায় বিক্ষোভে দাঙ্গার ঘটনা ঘটলে ইসরায়েলি বাহিনী পাল্টা সাড়া দেয়। একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে এমন খবর আমরা শুনেছি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলির গুলিতে ৩৮ বছর বয়সী ইমাদ আলী মোহাম্মদ দৈওকত গুলিবিদ্ধ হন। তাকে নাবলুসের হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হামলায় আহত ২১ জনকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। এদের সবাই রাবার বুলেটে বিদ্ধ হন।
ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রায় বিক্ষোভ বের করেন ফিলিস্তিনিরা। এতে ইসরায়েলি বাহিনী সঙ্গে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে হতাহত হন অনেকে ফিলিস্তিনি।
ওমান উপকূলে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ট্যাংকার এমভি মারসার স্ট্রিট-এ হামলার পেছনে ইরান জড়িত, এমন দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের তদন্ত দলের। শুক্রবার বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড জানায়, মারসার জাহাজে হামলায় ব্যবহার করা ড্রোনটি ইরানের তৈরি।
গত জুলাইয়ে ওমান উপকূলে মারসার জাহাজে হামলায় জড়িতে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একদল বিশেষজ্ঞ হামলার পেছনে তেহরান জড়িত বলে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউএসএস রোনাল্ড রিগান থেকে পাঠানো তদন্তকারী দলটি ওমান উপকূলের ওই জাহাজে ড্রোন হামলার প্রমাণ পেয়েছে। ড্রোনটি সামরিক বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করে। সেদিনের হামলায় জাহাজের দুই নাবিক প্রাণ হারান।
বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদনে এসেছে, ‘ইরানের তৈরি ড্রোন ‘কামিকাজি’ দিয়েই পরিকল্পিতভাবে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা হয়। এ ধরনের হামলা এই অঞ্চলে ক্রমেই বাড়ছে’।
গত ৩০ জুলাই ওমান উপকূলে হামলার শিকার হয় ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ট্যাংকার এমভি মারসার স্ট্রিট। হামলায় এক ব্রিটিশ ও এক রোমানিয়ান নাগরিকের মৃত্যু হয়। তখনই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তার দাবি এই হামলায় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বি ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে আসছে তেহরান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকটি পরিষেবা ও পাবলিক প্লেসে প্রবেশের জন্য ডিজিটাল সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে ইতালি। গ্রিন পাস নামের এই ডিজিটাল সার্টিফিকেট ধারীরা এসব নির্ধারিত স্থান ও সেবা নিতে পারবেন।
যারা অন্তত একটি ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন বা গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে তারা গ্রিন পাস পাবেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সের যে কেউ জিমন্যাসিয়াম ও রেস্তোরাঁয় তাদের গ্রিন পাস পরিদর্শন করতে হবে।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এমন পাস চালু হয়েছে। মহাদেশটিতে সর্বশেষ এই পাস চালু করলো ইতালি। ফ্রান্স হেলথ পাস নামে এমন উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার থেকে রেস্তোরাঁ, বার, বিমান ও ট্রেনে চলাচলের জন্য এই হেলথ পাস বাধ্যতামূলক করেছে ফরাসি সরকার।
অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস ও ডেনমার্কও এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
ইতালিতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা এই আইন অমান্য করলে ১ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইতালির বেশিরভাগ মানুষ এই উদ্যোগকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তবে দেশটির কয়েকটি অঞ্চলে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও হয়েছে।
ইতালির ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নিয়েছেন। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে ২২ হাজার নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
১ সেপ্টেম্বর থেকে গ্রিন পাস ইউনিভার্সিটির কর্মী ও দুর পাল্লার পরিবহনে বাধ্যতামূলক করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত হোটেল, সুপারমার্কেট ও শপিং সেন্টারে গ্রিন পাস বাধ্যতামূলক করার কোনো্ পরিকল্পনার কথা জানা যায়নি।
ইতালিতে নাইটক্লাবগুলো বন্ধ হয়েছে। যদিও দেশটির সরকারের একজন মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সপ্তাহে এগুলো খুলে দেওয়া হতে পারে।
যেসব স্থানে প্রবেশের জন্য গ্রিন পাস দেখাতে হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ ও জাদুঘর। তবে রেস্তোরাঁর বাইরে খাবার খেলে গ্রিন পাস দেখানো এড়ানোর সুযোগ থাকবে।
ইতালিতে সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
Source: https://www.banglatribune.com/694628/%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AE