#কলকাতা: সরকারি বিধি অনুযায়ী পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করার কথা৷ কিন্তু প্রায় কোনওক্ষেত্রেই সেই নিয়ম মানা সম্ভব হচ্ছে না৷ ব্যতিক্রম নয় সরকারি বাসও৷ সরকারি বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই গন্তব্যে পৌঁছতে তাই বাসে ঠাসাঠাসি করে উঠে পড়ছেন যাত্রীরা৷
বৃহস্পতিবার আরামবাগ থেকে কলকাতাগামী এমনই একটি বাসে বিধি ভেঙে যাত্রী তোলার অভিযোগ পেয়ে মাঝপথেই বাস থামিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ৷ বাসে থাকা এক মহিলা যাত্রীই পুলিশের মহিলা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার অভিযোগ জানান৷ সেই অভিযোগ পেয়েই পদক্ষেপ করে পুলিশ৷
বৃহস্পতিবার সকালে আরামবাগ থেকে কলকাতা আসছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি নন স্টপ বাস৷ বাসের যাত্রী পেশায় অধ্যাপিকা প্রতীক্ষা গোস্বামীর অভিযোগ, বিধি না মেনেই বাসের সব আসনে যাত্রী তোলা হয়৷ বাসে দাঁড়িয়েও ছিলেন বহু যাত্রী৷ প্রথমে বাসের চালক এবং কন্ডাক্টরকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান প্রতীক্ষাদেবী৷ কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি৷ এর পর সরাসরি কলকাতা পুলিশের মহিলা হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানান তিনি৷
বাসটি কলকাতায় প্রবেশের পরেই ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে সেটিকে আটকায় পুলিশ৷ এর পরেই বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়৷ বাসটি আরামবাগ থেকে কলকাতার ধর্মতলায় আসছিল৷ ফলে পুলিশের পদক্ষেপে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও খুব একটা সমস্য্যায় পড়তে হয়নি তাঁদের৷
প্রতীক্ষা গোস্বামী নামে ওই যাত্রীর অভিযোগ, ‘নিয়ম মতো তিনটি জন বসার সিটে দু’ জন যাত্রীর বসার কথা৷ কিন্তু সেই নিয়ম না মেনেই চালক এবং কন্ডাক্টর যাত্রী তুলেই যাচ্ছিলেন৷ সরকারি বাসেই সরকারি বিধি না মানলে অন্য জায়গায় কী হবে?’ যদিও বাসের আর এক যাত্রী অরিন্দম মণ্ডলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘কাজের প্রয়োজনেই বাধ্য হয়ে বাসে এ ভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে৷ পুলিশ বাস থেকে নামিয়ে দিলে মানুষ কাজের জায়গায় পৌঁছবে কী ভাবে? উনি তো শুরু থেকেই নিজেকে অধ্যাপিকা পরিচয় দিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন৷’
বাসের কন্ডাক্টর দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যাত্রীরা জোর করে বাসে উঠে পড়লে আমরা কী করতে পারি?’
Source: https://bengali.news18.com/news/kolkata/police-stops-a-government-bus-midway-for-violating-covid-19-guidelines-dmg-638114.html