সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে নির্বাচনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এতে সদ্য একুশের বিধানসভা ভোটের নিরিখে বিজেপির চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভার ভোটের নিরিখে যদি ভোটাররা পৌরসভায় ভোট দেয় তাহলে কলকাতার ছোট নবান্ন দখলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পেতে চলেছে তৃণমূল। অপরদিকে, ব্যাকফুটে থাকছে বিজেপি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতোমধ্যেই কলকাতাসহ রাজ্যের একাধিক পৌরসভায় দলের জেলা নেতৃত্বকে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারাও ভোট করার বিষয়ে প্রস্তুত বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে কলকাতা পৌরসভার দিকে। ২০০৫-২০১০ বাদ দিলে, গত ২০ বছরে যে চারটি পৌর নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে তিনবারই তৃণমূল বোর্ড গড়েছে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ফলের পরের বছর ২০১৫ সালে কলকাতা পৌরসভায়ও দারুণ ফল পায় তৃণমূল। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে বিজয়ী হয় তারা। বিজেপিকে ছাপিয়ে বামরা প্রধান বিরোধী দলের আসন ছিনিয়ে নেয়।
২০১৫ কলকাতা পৌর নির্বাচনে সুপার ফ্লপ শো হয় বিজেপির। ভোটের ঠিক আগে চিত্রনায়িকা বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে দলে নিয়ে চমক দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি। তাকে প্রার্থী করা হচ্ছে প্রচার করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও তিনি যে দলের মেয়র পদপ্রার্থী তা বুঝিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু রাজনৈতিক চালে ভুল করে বিজেপি। রূপা সে সময় কলকাতার ভোটার ছিলেন না। পশ্চিমবঙ্গ পৌরসভা আইন অনুযায়ী কোনও একটি বিশেষ পৌর এলাকার ভোটার না হলে সেখানে ভোটে লড়া যায় না। তাই চালে ভুল করে শেষে পিছিয়ে আসতে হয় তাদের।
বিজেপি সেবার পেয়েছিল মাত্র সাতটি আসন, বামেরা জেতে ১৫টিতে। পরে বিজেপির টিকিটে জিতে আসা দুই কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে ক্ষমতায় ফেরার পর এবার তৃণমূল যে আরও বেশি সংখ্যক ওয়ার্ডে জিতে কলকাতা পৌরসভায় ক্ষমতায় ফিরবে তেমনটাই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে। কলকাতার সবকটি বিধানসভা ও লোকসভা আসনেই শেষ তিনটি নির্বাচনে অনায়াসে জিতেছে তৃণমূল। সদ্য শেষ হওয়া একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ১১ আর কংগ্রেস মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। বামেরা সব আসনে হেরে বিধানসভা ভোটের মতোই সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
বিধানসভা ভোটের আগে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিধানসভার অর্ন্তগত ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই বারের সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি বিজেপির পক্ষ থেকে যাদবপুর বিধানসভায় প্রার্থী হন। কিন্তু ভোটে তিনি তৃতীয় স্থানে চলে যান। শুধু তাই নয়, তার নিজের ওয়ার্ড ১০২ নম্বরে ভোটের নিরিখে তৃতীয় স্থানে চলে যান তিনি। এখানে তৃণমূল ১৬০৮ ভোটে জয় লাভ করে। সিপিএম পায় দ্বিতীয় স্থান।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতায় বিজেপিই ছিল তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ। বামেরা যাদবপুর ছাড়া সব বিধানসভা আসনেই তৃতীয় স্থান লাভ করে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশের ভরাডুরি পর বিজেপি দ্রুত ঘর গুছিয়ে পৌর ভোটে নেমে তৃণমূলকে সর্বাত্মক চ্যালেঞ্জ করা কার্যত অসম্ভব। তাই আসন্ন কলকাতা পৌর নির্বাচনে হয়তো বিরোধী দলের আসনে বসতে হতে পারে বিজেপিকে।
লুট হওয়া ১৭ হাজার মূল্যবান শিল্পকর্ম ইরাককে ফিরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দেশটির হাজার বছরের পুরনো শিল্পকর্ম রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাদ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন হামলার পর বহু মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্দ চুরি অথবা লুট হয়ে যায়। যুদ্ধ চলকালীন সরকার সঠিকভাবে তদারকি না করতে পারায় মূল্যবান নিদর্শনগুলো লুট হয়। ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর প্রস্তরযুগ, ব্যাবিলিয়ন, আসিরিয়ান ও ইসলামিক যুগের প্রায় ১৫ হাজার পুরাকীর্তি চুরি বা ধ্বংস করে লুটেরাদের দল।
দীর্ঘসময় গড়ানোর পর ইরাকের ১৭ হাজার শিল্পকর্ম দেশটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের সংস্কৃতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লুট হওয়া হাজার বছরের পুরাতন সম্পদ ফিরিয়ে দিতে দু’দেশ একমত হয়েছে। শিল্পকর্মের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ বছরের পুরাতন মাটির ফলকে লেখা পৃথিবীর প্রথম মহাকাব্য গিলগামেশের উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে। আগামী মাসেই ওয়াশিংটন গিলগামেশ শিল্পকর্মটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।
u0997u09bfu09b2u0997u09beu09aeu09c7u09b6 u09b6u09bfu09b2u09cdu09aau0995u09b0u09cdu09ae</span></span>”}”>
ইরাক থেকে লুট হওয়া শিলালিপিগুলো ৪ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো। এগুলো সুমেরীয় সভ্যতার ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন নথি বহন করে।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ৯ বছরের এক কন্যাশিশুকে শ্মশানঘাটে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত একজন পুরোহিত ও তার তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লি সরকার এই ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছে।
বিভিন্ন দলিত সংগঠন অবশ্য বলছে, ধর্ষিতা মেয়েটি যেহেতু দলিত বা নিম্নবর্ণীয় সমাজের তাই এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধেও তেমন জোরালো প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশ ঘেঁষেই রয়েছে একটি বাল্মিকী বস্তি, যে সম্প্রদায়ের লোকজন মূলত পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে জীবনধারণ করেন।
যে নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে ওই এলাকার বাসিন্দারা সোমবার থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন, সেটি ঘটেছিল তার আগের দিন রাতেই। নিহত মেয়েটির মা বলছিলেন, ‘আমরা সেদিন গাঁয়ে গিয়েছিলাম, আর আমাদের বাচ্চা শ্মশানঘাটের ওয়াটার কুলার থেকে খাবার পানি নিতে গিয়েছিল। শ্মশানের মন্দিরের পুরোহিত বা পন্ডিতজি আমাদের ফোন করে হঠাৎ খবর দেয়, কুলার থেকে পানি নিতে গিয়ে আমাদের মেয়ে নাকি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। সে রাতেই তাড়াহুড়ো করে ওর সৎকার করে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, পণ্ডিতজি আর ওর দলবল আমাদের মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে।’</span>”}”>
রাধেশ্যাম নামে মূল অভিযুক্ত ওই পুরোহিতকে সোমবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সঙ্গে আটক করা হয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ, কুলদীপ ও সালিম নামে তার তিনজন সঙ্গীকেও। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা, ভয় দেখানো ও প্রমাণ লোপাট করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুরানা নাঙ্গাল নামের ওই এলাকায় অবশ্য এখনও পুলিশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তীব্র। অনেকেই বলছিলেন, চারজন অভিযুক্তকে পুলিশই জিপে করে সরিয়ে নিয়ে গেছে। ওই দলিত শিশুর পরিবার গরিব ও বাল্মিকী বলেই বিচার পাচ্ছে না।
কেউ কেউ আবার জানাচ্ছেন, নিহত মেয়েটির মা-বাবাকে থানার ভেতরেই উল্টো মারধর করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশের মদতেই ওই শ্মশানঘাটে বহুদিন ধরে চলছিল জুয়া, মদ্যপান ও নানা অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া।
এই মুহুর্তে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড ছাড়া তারা যে আর কোনও শাস্তিতেই সন্তুষ্ট হবেন না বাল্মিকীরা সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে।
দিল্লি সরকারের মন্ত্রী রাজেন্দ্র গৌতম ওই বস্তিতে গিয়ে কথা দিয়ে এসেছেন, দোষীদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের রাজধানীতে এমন ঘটনা ভাবাই যায় না। উত্তরপ্রদেশের দেহাত অঞ্চলে শোনা যায় ভিকটিমের পরিবারকেই ভয় দেখিয়ে বয়ান বদলাতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু দিল্লিতেও কেন এমন ঘটনা ঘটবে?’
তিনি বলেন, ‘যদিও দিল্লিতে আইন-শৃঙ্খলা আর পুলিশ রাজ্য সরকারের হাতে নেই, তবু নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর দোষীরা যাতে সাজা পায় আমরা তা নিশ্চিত করবো।’
নিম্নবর্ণের বলেই জোরালো প্রতিবাদ নেই
দলিত সংগঠনগুলো প্রশ্ন তুলছে, এমন পাশবিক ঘটনাতেও দিল্লির প্রতিবাদ স্তিমিত কেন। ভীম আর্মির নেতা হিমাংশু বাল্মিকী বলেন, ‘এদেশে একটা গরু মরলেও মিডিয়া থেকে আরএসএস সবাই হইচই শুরু করে দেয়, কিন্তু এখন তারা চুপ কেন?’
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা মুসলিম হলে বিজেপি এতোক্ষণে কী করতো ভাবুন তো? ১০ মাইল দূরে পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে, কারও মুখে একটা আওয়াজ পর্যন্ত নেই। এই মেয়েটি দলিত নাহলে সব বড় দলের নেতাদের তো এখানে এসে ক্ষতিপূরণ ঘোষণার হিড়িক পড়ে যেতো! আমাদের বস্তিতে আসতে ওনাদের কী নাকে দুর্গন্ধ লাগে?’
প্রায় ৯ বছর আগে দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ড নামে পরিচিত ধর্ষণ মামলায় নিহত মেয়েটি যে উচ্চবর্ণের ছিল এবং গোটা দিল্লি যে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল, দলিত নেতারা সখেদে সেটিও মনে করিয়ে দিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি।
সুদানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাসালা প্রদেশের সীমান্তবর্তী একটি নদীতে প্রায় ৫০টি মৃতদেহ ভেসে আসতে দেখেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেশি ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চল থেকে এসব মৃতদেহ ভেসে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুদান সীমান্তে কর্মরত ইথিওপিয়ার দুই স্বাস্থ্যকর্মীও সেইতিত নদীতে মরদেহ দেখার কথা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইথিওপিয়ার বিরোধপূর্ণ টাইগ্রে অঞ্চলের যে এলাকায় বিগত নয় মাস ধরে সংঘাত চলেছে সেই অঞ্চল দিয়ে বয়ে গেছে সেইতিত নদী। টাইগ্রে বাহিনীর অভিযোগ স্থানীয় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উপর সহিংসতা চালিয়েছে সরকারি বাহিনী।
এই নদীতে যেসব মৃতদেহ দেখা গেছে তার বেশ কয়েকটিতে বন্দুকের গুলির চিহ্ন কিংবা হাত বাধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। সোমবার সুদানের ওই কর্মকর্তা জানান, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে ফরেনসিক তদন্ত দরকার।
ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চল থেকে সুদানে পালিয়েছেন টিয়োদ্রোস টেফারা নামের এক সার্জন। তিনি জানান, ‘জেলেরা যেসব মরদেহ শনাক্ত করছেন আমরা সেগুলো সৎকার করছি। আশঙ্কা করছি নদীতে আরও মরদেহ রয়েছে।’
টিয়োদ্রোস টেফারা জানান হুমেরা শহরের ভাটিতে এসব মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে। এসব মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন। তবে তিনি জানান, টাইগ্রে অঞ্চলের মানুষের শরীরে যে ধরনের ট্যাটু দেখতে পাওয়া যায় অনেক মরদেহের শরীরে তা রয়েছে।
ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বাঁধ থেকে পানি বের হওয়ায় প্লাবিত বহু ঘর-বাড়ি।
বন্যার পানি অপসারণে কাজ চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নদীর পানিতে হুগলি জেলার অনেক জায়গা তলিয়ে যাওয়ায় সোমবার উদ্ধার কাজে নামে সেনা এবং বিমান বাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করতে বিমান থেকে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মন্ত্রী ও আমলাদের বন্যাকবলিত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অনেক জায়গায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। তবে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। সামনে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
তালেবানের বিরুদ্ধে চালানো হবে সেনা অভিযান। আর এর আগেই অবরুদ্ধ আফগান শহর লস্করগাহ থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেওয়া জেনারেল সামি সাদাত বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে আগের দিন ৪০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
লস্করগাহ শহরের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। তবে শহর ঘিরে এখনও তীব্র লড়াই চলছে। শহরটি তালেবানের হাতে পড়তে দেওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকারি বাহিনী। বাসিন্দাদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় জেনারেল সামি সাদাত বলেছেন, ‘একটা তালেবানকেও জীবিত ছাড়বে না’ সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, জানি নিজেদের বাড়ি ছেড়ে যাওয়া কঠিন- আমাদের জন্যও কঠিন। কিন্তু আপনারা কয়েক দিনের জন্য বাস্তুহারা হয়ে পড়লে আমাদের ক্ষমা করবেন।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক অভিযানের কেন্দ্রে থেকেছে হেলমান্দ প্রদেশ। এটি তালেবানের দখলে গেলে তা হবে আফগান সরকারের জন্য বড় বিপর্যয়। লস্করগাহের পতন ঘটলে ২০১৬ সালের পর এটি হবে তালেবানদের প্রথম কোনও প্রাদেশিক রাজধানী দখল। বর্তমানে তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিতে লড়াই চালাচ্ছে তালেবান।
লস্করগাহের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা ভয়ের মধ্যে বসবাস করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান বাহিনীর বোমা বর্ষণে আক্রান্ত তালেবান সদস্যরা রাজপথে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এক বাসিন্দা বলেন, ‘তালেবানও আমাদের ছাড়ছে না আবার সরকারও বোমাবর্ষণ বন্ধ করছে না। রাস্তায় মরদেহ পড়ে রয়েছে। জানি না তারা বেসামরিক মানুষ নাকি তালেবান।’ আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘জানি না কোথায় যাবো, শহরের প্রত্যেক কোনায় যুদ্ধ চলছে।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ২০ বছরের সামরিক অভিযানের পর মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সম্প্রতি দেশটিতে দ্রুত তালেবানের উত্থান ঘটছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অগ্রযাত্রা ঠেকাতে যুদ্ধের মাঠে মোতায়েন করা হচ্ছে হাজার হাজার আফগান সেনা।
Source: https://www.banglatribune.com/694098/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A3%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2