আবুধাবি : আইপিএল তার প্রথমার্ধ শেষ করেছে। সবে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব। ফিরতি ম্যাচে আবার একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে দলগুলি। ফিরতি ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখি হতে চলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর।
কলকাতার এটাই প্রথম ফিরতি ম্যাচ। আবুধাবির মাঠে একবার মুম্বইয়ের কাছে হেরেছে কলকাতা। সেটাই ছিল তাদের প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচে হারার পর ফিরতি ম্যাচে আবার শক্তিশালী মুম্বইয়ের মুখোমুখি কলকাতা।
মুম্বই তাদের একটা ধারা প্রতিবছরই আইপিএল-এ বজায় রাখে। ওপরের দিকের দল হিসাবেই থাকে। অন্যদিকে কলকাতা কবে ভাল খেলবে বোঝা মুশকিল।
গত ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে যেভাবে গোহারান হেরেছে দীনেশের দল তাতে কলকাতার অনেক ভক্তই মর্মাহত। লড়ে হারা এক জিনিস। কিন্তু এভাবে না লড়াই দিয়ে আত্মসমর্পণ মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।
মুম্বইয়ের বড় ভরসা তাদের ব্যালান্সড দল। যেমন ব্যাটিং আছে অনেকটা দূর পর্যন্ত, তেমনই বোলিংয়ে রয়েছে শক্তি। পোলার্ড এবং হার্দিক তো ফর্মে রয়েছেনই, সেইসঙ্গে মিডল অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব ও ঈশান কিষাণ-এর ব্যাট কথা বলছে। আর শুরুতে রোহিত শর্মার চওড়া ব্যাট তো রয়েছেই। রয়েছেন কুইন্টন ডি কক-এর মত লড়াকু ব্যাটসম্যান। ফলে ব্যাটিংয়ে বড় রান খাড়া করার পুরো শক্তি রয়েছে মুম্বইয়ের।
অন্যদিকে বোলিংয়ে রয়েছেন বুমরাহ-র মত বোলার। পোলার্ড দারুণ বল করছেন। রয়েছেন ট্রেন্ট বোল্টের মত দুরন্ত বোলার। এছাড়া রাহুল চাহর ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া তো রয়েছেনই।
এমন একটি ভারসাম্য যুক্ত দলের বিরুদ্ধে কলকাতা কিন্তু এখনও অতটা ছন্দের পর্যায়ে নেই। দীনেশের ব্যাট থেকে রান আসছে না। ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা রাসেল এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ। নারিনের ঝোড়ো শুরুটা পাচ্ছেনা কলকাতা। মিডল অর্ডারে নীতীশ রাণা রানের জন্য লড়ছেন।
বোলিংয়েও প্যাট কামিন্সের মত বোলার এখনও ছন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। বেশ কয়েকটি ম্যাচে অনেক রান দিয়ে দিয়েছেন তিনি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছাড়া তাঁকে তাঁর ফর্মে দেখা যায়নি। এই সব সমস্যা কাটিয়ে কলকাতা ফিরতি পর্বে এদিন ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।
এদিন কী তাহলে ফর্ম ফিরে পাবেন রাসেল? দীনেশের ব্যাট থেকে পঞ্চাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের মত রান আসবে? প্যাট কামিন্স ভয়ংকর হয়ে উঠবেন? এসব উত্তর পেতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।
Source: https://www.nilkantho.in/indian-premier-league-2020-26/