কামিনসের ফিফটিতে কলকাতার লড়াকু সংগ্রহ – jagonews24.com

কলকাতা নিউজ

বদলা নেয়ার মিশনে নেমে নিজেদের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম পর্বের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে ৪৯ রানে হেরেছিল কলকাতা। আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে সেই একই মাঠে শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে মুম্বাই ও কলকাতা।

যেখানে আগে ব্যাট করে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক বদল করে নামা কলকাতা। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠতে ১৪৯ রান করতে হবে মুম্বাইকে। অথচ প্রথম সাক্ষাতে কলকাতার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল মুম্বাই। জবাবে কলকাতা থেমেছিল ১৪৬ রানে। আজও সে রানের কাছাকাছিই থাকল ইয়ন মরগ্যানের দল।

মুম্বাই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটসম্যানের ভয়াবহ ব্যর্থতায় দলীয় সংগ্রহ বড় করতে পারেনি দুইবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা। তাও ১৩৭ রানের সংগ্রহ পাওয়ার মূল কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলিং অলরাউন্ডার প্যাট কামিনসের। অপ্রত্যাশিত ব্যাটিংয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন কামিনস। যার সুবাদে বলার মতো সংগ্রহ পেয়েছে কলকাতা।

নতুন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। দুই অংকে যেতে পারেননি রাহুল ত্রিপাথি (৯ বলে ৭), নিতিশ রানা (৬ বলে ৫) ও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দীনেশ কার্তিক (৮ বলে ৪)। ধরে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শুভমান গিল (২৩ বলে ২১)।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলের মাত্র ৪২ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান এ চার ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে রাহুল চাহারের পরপর দুই বলে আউট হন শুভমান ও কার্তিক। ফলে জাগে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সেই বলটি সহজভাবেই খেলেন ছয় নম্বরে নামা আন্দ্রে রাসেল। তবে তিনিও উইকেট থাকতে পারেননি উইকেটে।

জাসপ্রিত বুমরাহর বাউন্সারে পুরোপুরি পরাস্ত হয়ে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯ বলে ১ চার ও ১ ছয়ের মারে ১২ রান করা রাসেল। মাত্র ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন কঠিন বিপদের মাঝে কলকাতা, চলে গিয়েছিল ১১টি ওভার। সেখান থেকে আর উইকেট পড়তে দেননি অধিনায়ক মরগ্যান ও প্যাট কামিনস।

দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে করেন ৮৭ রান। নাথান কাউল্টার নাইলের করা শেষ ওভার থেকেই নেন ২১ রান। তার আগের ওভারেই নিজের ফিফটি পূরণ করেন কামিনস। শেষপর্যন্ত ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন কামিনস। অধিনায়ক মরগ্যানে ব্যাট থেকে আসে দুইটি করে চার-ছয়ের মারে ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।

মুম্বাইয়ের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ২টি উইকেট শিকার করেন রাহুল চাহার। এছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট, নাথান কাউল্টার নিল এবং ট্রেন্ট বোল্ট নেন ১টি করে উইকেট।

এসএএস/পিআর

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন জাগো নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন – [email protected]

Source: https://www.jagonews24.com/sports/cricket/617634