অবশেষে কলকাতা শহরের লাইফলাইন মেট্রোয় চাপলেন আমজনতা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে কলকাতা জুড়ে ছুটে বেড়ালো ঐতিহ্যে পাতালরেল। করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রথম মেট্রোযাত্রায় একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা হল যাত্রীদের। অভিযোগ, ই–পাস নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। লকডাউনের পর এই প্রথম পরিষেবা দিয়ে খুব একটা খারাপ ব্যবসা হয়নি কলকাতা মেট্রোর।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত নোয়াপাড়া–গড়িয়া রুটে ৮ হাজার ১০০ জন যাত্রী যাতায়াত করেন। দিনের শেষে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২০ হাজারে। এদিন এই নর্থ–সাউথ রুটে মেট্রোর মোট আয় হয়েছে ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৫৫ টাকা। কিন্তু ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো যে এখনও সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি তা ফের বোঝা গেল আজ। এদিন প্রথম ৫ ঘণ্টায় এই রুটের মেট্রোয় চেপেছেন মোট ৪০ জন যাত্রী। দিনের শেষে কিছুটা বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৮৩ জনে। এদিন ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো রুটে মোট আয় হয়েছে ৬৬১০ টাকা। যদিও করোনা পরিস্থিতির আগে যখন একমাসের জন্য এই রুটে মেট্রো চালু করা হয়েছিল তখনও বেশিরভাগ কামরা ফাঁকাই থাকত।
এদিকে, এদিন কিছু যাত্রী ই–পাস নিয়ে হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘পথদিশা’ ও কলকাতা মেট্রো–র যে অ্যাপ থেকে ই–পাস নেওয়া যায় সেটির পদ্ধতি খুবই সহজ। তবে কিছু মানুষের বুঝতে অসুবিধে হয়েছে। আশা করা যায়, ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যাবে। এমনকী এদিন ঘড়ির কাটা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ই–পাস সংক্রান্ত অভিযোগও কম আসতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
Source: https://bangla.hindustantimes.com/bengal/kolkata/first-day-experience-and-earnings-of-kolkata-east-west-and-north-south-metro-after-lockdown-31600106196530.html