লকডাউনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছে অ্যাফকনস।
#কলকাতা: ভারতের গভীরতম ভেন্ট শ্যাফট তৈরি হল কলকাতায়। ব্রেবোর্ন রোডের পাশে, মল্লিক ঘাট একেবারে হুগলী নদীর তীরেই তৈরি করা হয়েছে দেশের গভীরতম ভেন্টিলেশন শ্যাফট। এই শ্যাফটের যা গভীরতা তাতে একটি ১৫ তলা আবাসন বা বাড়ি এতে ঢুকে যাবে। লকডাউনের মধ্যেই সেই কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে গেল কেএমআরসিএল।
নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনস এই শ্যাফট বানিয়ে ফেলেছে। কী এই ভেন্টিলেশন শ্যাফট। এটা দেখতে একটা বিশালাকৃতির কুয়ার মতো। যা মোটা কংক্রিটের বেড় দিয়ে বাঁধানো আছে। যেখান দিয়ে অতি সহজেই পাঠানো যাবে অক্সিজেন। যেখান দিয়ে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে আসা যাবে যাত্রীদের। এই ভেন্টিলেশন শ্যাফট যেখানে বানানো হয়েছে, তার একদিকে হুগলী নদী পেরোলেই হাওড়া স্টেশন। আর একদিকে মহাকরণ মেট্রো স্টেশন। ভেন্টিলেশন শ্যাফট থেকে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের দুরত্ব হচ্ছে ৭৫০ মিটার।
মহাকরণ মেট্রো স্টেশন থেকে ভেন্টিলেশন শ্যাফটের দুরত্ব ১৪০০ মিটার। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে দুটি মেট্রো স্টেশনের মধ্যবর্তী দুরত্ব হওয়া উচিত ১ থেকে ১.৫ কিলোমিটার। যদিও হাওড়া স্টেশন থেকে মহাকরণের মধ্যে দুরত্ব ২ কিমি। ফলে মাঝের অংশে ভেন্টিলেশন শ্যাফট ভীষণ জরুরি। এই অংশের প্রজেক্ট ম্যানেজার সত্য নারায়ণ জানিয়েছেন, “সুড়ঙ্গের মধ্যে অক্সিজেন বা হাওয়া পাঠানো ভীষণ জরুরি। তা এই ভেন্টিলেশন শ্যাফট দিয়ে পাঠানো হবে। এছাড়া শ্যাফটের সাথে জুড়ে দেওয়া হবে দু’দিকের লাইন। ফলে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের উদ্ধার করতে গেলে এই শ্যাফট ভীষণ জরুরি।”
লকডাউনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছে অ্যাফকনস। এখন কাজ চলছে দু’দিকের সুড়ঙ্গের সাথে শ্যাফট জোড়ার কাজ। যে জায়গায় এই শ্যাফট বানানো হয়েছে, সেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ছিল। বিশেষ করে পাশে রয়েছে হুগলী নদী। এছাড়া রয়েছে চক্ররেলের লাইন।।একবার কাজ করতে গিয়ে জলস্তর উঠে যাওয়ায় কাজ বন্ধ করতে হয়। কারণ এখানে অ্যাকুইফার থাকার কারণে। তবে টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জ সামলে সেই কাজ করে ফেলল নির্মাণ কারী সংস্থা অ্যাফকনস।
আবীর ঘোষাল
পুরো খবর পড়ুন
Source: https://bengali.news18.com/news/kolkata/kolkata-metro-indias-deepest-ventilation-shaft-has-been-made-in-kolkata-ss-485093.html