(প্রতীকী ছবি)
করোনা তথ্য লুকিয়ে অজান্তেই বিপদ বাড়িয়ে চলেছে কলকাতা। রবিবার শ্যামপুকুরের পর বেহালা। দুই ঘটনাই যথা সময় প্রশাসনের কাছে জানানো হয়নি। তাই বিপদ বেড়েছে।
#কলকাতা: করোনা কি বেছে বেছে আবাসনে ঢুকছে শুধু? কলকাতার আবাসনই কি করোনা ভাইরাসের নিশ্চিন্ত ঠিকানা? প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে শহরবাসীর মনে। একটি পরিসংখ্যানেই বিষয়টি আরও পরিস্কার হয়ে যাবে। কলকাতা পুরসভার একটি হিসেব বলছে ২৮ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা শহরের মধ্যে বস্তিবাসী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৭৪ জন। অন্যদিকে আবাসন বা বহুতলের করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ২৫০০ বেশি।
করোনা তথ্য লুকিয়ে অজান্তেই বিপদ বাড়িয়ে চলেছে কলকাতা। রবিবার শ্যামপুকুরের পর বেহালা। দুই ঘটনাই যথা সময় প্রশাসনের কাছে জানানো হয়নি। তাই বিপদ বেড়েছে। শ্যামপুকুরের বৃন্দাবন পাল লেনের বৃদ্ধাকে করোনা আতঙ্কে কেউ ছুঁয়েও দেখেননি। আর বেহালার ক্ষেত্রে কোনও তথ্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ছিল না বলে খবর। শহরের আবাসনে কন্টেইনমেন্ট জোন বেশি। এর কারণ কী শুধুই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ জানান, ” সচেতনতার অভাব। বস্তির মধ্য থেকে করোনার নির্ভুল পরিসংখ্যান আসছে পুরসভার কাছে। তাই করোনা মোকাবিলায় সেখানকার রোডম্যাপ কাজে দিচ্ছে। অন্য দিকে আবাসনে বা বহুতলে করোনা তথ্য লোকানোর প্রবাণতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই করোনা জব্দে পুরসভার উদ্যোগ কাজে আসছে না।” অতীন বাবুর কলকাতাবাসীর কাছে আবেদন, স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়িতে গেলে করোনা তথ্য বা করোনার মতন উপসর্গের তথ্য জানান । “
অতিমারি করোনা মোকাবিলা সহজ নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সময়ের নিরিখে বদলে যাচ্ছে কোভিড-১৯ প্রোটোকল। এই অবস্থায় তথ্য পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরী। কলকাতা পুরসভার ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। শববহনকারী গাড়ি ৬ টি। শববহনকারী গাড়ি আরও বেশ কিছু কিনতে চলেছে পুরসভা। অতিমারি করোনা মোকাবিলায় আরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স পথে নামাতে সচেষ্ট হয়েছে পুরসভা। সাংসদ ও বিধায়কদের অর্থ সাহায্যের অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে শহরে নামাতে চিঠি দিয়েছে পুরসভা।
Arnab Hazra
পুরো খবর পড়ুন
Source: https://bengali.news18.com/news/coronavirus-latest-news/kolkata-is-digging-its-own-grave-by-hiding-information-on-corona-ed-478326.html