প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বেসরকারি বাস।কোভিড নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাসে শহরবাসী।
#কলকাতা: বিরাটি দুর্গানগরের শঙ্কর দাস। পেশায় চাকরিজীবী। কর্মস্থল শিয়ালদহ। অফিস পৌঁছতে ডানলপ মোড়ে দাঁড়িয়ে রীতিমত নাস্তানাবুদ অবস্থা। সোমনাথ হালদার। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। দোকানের সাজসরঞ্জাম আনতে বড়বাজার যাবেন বলে সাতসকালেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন মধ্য পঞ্চাশের সোমনাথ বাবু।
সোমবার কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ছবিটা ছিল এমনই! রুটি-রুজির জন্য বেরোতে হচ্ছে। অথচ যানবাহনের অভাবে প্রতি মুহূর্তে নাকাল হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাস ছিল বটে। তবে মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় তার সংখ্যা নিতান্তই কম। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে নাকাল হয়েছেন যাত্রী সাধারণ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছিলেন। কলকাতার ৬০০০ বাসের জন্য বাস পিছু মাসে ১৫০০০ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভেজেনি। অধিকাংশ বাস মালিক সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে, ওই পরিমাণ অনুদান বা ভর্তুকিতে গোড়ালিও ভিজবে না। ফলে সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার রাজপথে বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমেছে পাল্লা দিয়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা থেকে রীতিমতো হয়ে গেছে সরকারি বেসরকারি বাস ও মিনিবাস। আর মাশুল গুনতে হয়েছে পথে নামা যাত্রী সাধারণকে। ৪০ মিনিটের রাস্তা পেরোতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা হাতে সময় নিয়ে বেরোতে হয়েছে মানুষকে। অফিস ফেরত যাত্রীদের অবস্থা আরও শোচনীয়।
টার্মিনাসে যাও বা লম্বা অপেক্ষার পর বাসে জায়গা মিলেছে, মাঝ পথে বাস ধরতে গিয়ে হয়রানির চূড়ান্ত। প্রয়োজনের তাগিদে অধিকাংশ বাসেই কোভিড নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চোখে পড়েছে স্ট্যান্ডিং যাত্রী। মাঝপথে অফিসে যাত্রী নামানোর জন্য বাস থামলেই কন্ডাক্টরের আপত্তিকে আমল না দিয়ে রীতিমত ধাক্কাধাক্কি করে, হুড়মুড়িয়ে বাসে উঠেছে পথচলতি জনতা। মঙ্গলবার কলকাতায় বাস হয়রানি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা শহরবাসীর।
PARADIP GHOSH
পুরো খবর পড়ুন
Source: https://bengali.news18.com/news/kolkata/commuters-face-problem-due-to-unavailability-of-private-buses-in-kolkata-ac-466771.html