হাইলাইটস
- বেঙ্গালুরুতে থাকা স্ত্রীকে খুন করে কলকাতায় ফিরে শাশুড়িকে গুলি করে মারে ফুলবাগানের এক ব্যক্তি।
- এরপর নিজে আত্মঘাতী হয়েছে সে।
- অমিতের সঙ্গে সুভাষ ধনধানিয়া (৭০) ও ললিতা ধনধানিয়ার কন্যা শিল্পীর বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সমস্যা শুরু হয় দুজনের মধ্যে।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফুলবাগানে শাশুড়িকে খুন করে জামাইয়ের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেঙ্গালুরুতে থাকা স্ত্রীকে খুন করে কলকাতায় ফিরে শাশুড়িকে গুলি করে মারে ফুলবাগানের এক ব্যক্তি। এরপর নিজে আত্মঘাতী হয়েছে সে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অমিত আগরওয়াল (৪২) নামে ওই ব্যক্তি আগে বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে নিজের স্ত্রীকে খুন করে। দেহ ফেলে রেখে দেয় ফ্ল্যাটেই। এরপর স্পাইস জেটের বিমানে আজই কলকাতায় ফেরে সে। ফিরেই কলকাতার ফুলবাগানে শ্বশুরবাড়িতে যায় সে। সেখানে শাশুড়িকে গুলি করে মারে। শ্বশুর পাশের ফ্ল্যাটে পালিয়ে যাওয়ায় বেঁচে যান। এরপর পুলিশ এসে দরজা খুললে দেখতে পায় নিজেও আত্মঘাতী হয়েছে সে।
কলকাতা পুলিশ এরপর যোগাযোগ করে বেঙ্গালুরু পুলিশের সঙ্গে। সেখানকার পুলিশ শিল্পী আগরওয়ালের দেহ উদ্ধার করে ফ্ল্যাট থেকে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ফুলবাগান এলাকায় এদিন বিকেলেই শোরগোল পড়ে যায় যখন জানা যায়, শাশুড়িকে গুলি করে খুন করেছে এক জামাই। যদিও সেখানেই থেকে থাকেনি ওই ব্যক্তি। নিজেকেও গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে সে। ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগানের ৩২,এ রামকৃষ্ণ সমাধি রোডে।
ঠিক কী কারণে অমিত এমন করল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। গুলি করার জন্যে আগ্নেয়াস্ত্র অমিত কোথা থেকে পেল, সেই বিষয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও প্রাথমিক তদন্তে অমিতের সঙ্গে সুভাষ ধনধানিয়া (৭০) ও ললিতা ধনধানিয়ার কন্যা শিল্পীর বিয়ে হয়েছিল কয়েক বছর আগে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সমস্যা শুরু হয় দুজনের মধ্যে।
বছর দুয়েক আগে আলাদা হয়ে যান শিল্পী। প্রায় দুবছর ধরে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও। সেই সূত্রেই গোটা ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফুলবাগানের রামেশ্বরম অ্যাপার্টমেন্টে যান অমিত। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। সেই সময়ই অমিত ক্ষুব্ধ হয়ে ললিতা ধনধানিয়ার উদ্দেশে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ভয় পেয়ে সুভাষ ধনধানিয়া প্রতিবেশীর ঘরে চলে যান। তাঁরাই ফোন করেন থানায়। পুলিশ এসে ঘরে ঢুকে দেখে বিছানায় পড়ে রয়েছে অমিতেরও লাশ। আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/phoolbagans-murderer-just-came-back-after-killing-wife-in-bangalore/articleshow/76515942.cms