জুলাই মাসেও খুলছে না স্কুল। নবান্নে এ কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্ধারিত পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শ্রমিক স্পেশ্যালকে তিনি কখনওই করোনা এক্সপ্রেস বলেননি। মানুষ এ কথা বলেছে, সেটাই তিনি বলেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না-করে এ ভাবেই তাঁর আক্রমণের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকারি অফিস দুই শিফটে হবে। বেসরকারি অফিস আপাতত ওয়ার্ক ফ্রম হোম হলেই ভালো হয়। বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
কলকাতায় আক্রান্তের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া। এই জেলায় নতুন করে আরও ৩৮ জনের শরীরে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
আজ সকালে বারাসাত, বারুইপুর, ব্যারাকপুর, ডায়মন্ড হারবার, গার্ডেন রিচ, জোকা পূরকর্মীদের নিয়ে আসার জন্য ১১টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভা বাসের ব্যবস্থা করার জন্য খুশি কর্মীরা।
হুগলি জেলার মানুষদের খানিকটা স্বস্তি দিয়ে শ্রীরাপুর ও চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত চালু হল লঞ্চ পরিষেবা।
রাজ্যের ২৩টি জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের নিরিখে গুণ-ভাগের হিসেব বলছে, বঙ্গে মৃত্যুর হার কমেছে। গত সপ্তাহে যা ছিল ৫.৩০%, মঙ্গলবারের পরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৬১%। সার্বিক ভাবে রাজ্যে মৃত্যুহার কমলেও স্বস্তি দিচ্ছে না কলকাতা! মহানগরে গত সপ্তাহে ওই হার ছিল ৭.৩৯%। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৮.৭৮%! মহানগরীতে মৃত্যুহারের এই ঊর্ধ্বমুখী দৌড়ই চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী করোনা পজ়িটিভ মৃত ৪১৫ জনের মধ্যে ২৬৫ জনই কলকাতার।
অল্প জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। কন্টেনমেন্ট অ্যাফেক্টেড (এ) কিংবা বাফার (বি) জোনে থাকা কর্মী-অফিসারদেরও অফিসে আসার দরকার নেই। তাঁরা বাড়িতে থেকে কাজ করতে পারবেন। এমনাই জানিয়েছে নবান্ন।
কর্মী-অফিসার মিলিয়ে কলকাতা পুলিশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত ২২৫ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্তর সংখ্যা পাঁচ। শনিবার মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশকর্মীর। কেবল গড়ফা থানাতেই করোনা-আক্রান্ত হন ১৭ জন। তাঁদের অধিকাংশ অবশ্য এখন রোগমুক্ত। হেস্টিংসের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের কমব্যাট ব্যাটেলিয়নে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়ায়। তবে তাঁদের অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বহু পুলিশকর্মী রয়েছেন কোয়ারানটিনে।
চাপ এবং পাল্টা চাপের খেলায় টলিউডে টিভি সিরিয়ালের শুটিং শুরুর আগেই বন্ধ হয়ে গেল। আর্টিস্টস ফোরাম এবং প্রযোজকদের ঝামেলার ফলে এমন অভাবনীয় পরিস্থিতি। কথা ছিল, আজ, বুধবার থেকেই টলিউডে আবার শুরু হবে শুটিং। কিন্তু মঙ্গলবার সভা ডেকে ফোরামের কর্তারা বলেন, ‘শিল্পীদের স্বাস্থ্য ও বিমা সংক্রান্ত বিষয়ে চ্যানেল ও প্রযোজকরা আশ্বাস দিতে পারেননি। তাই অভিনেতাদের শুটিংয়ে যোগদানের পরামর্শ দিতে পারব না।’ এর কিছুক্ষণ পরে প্রযোজকরা পাল্টা বিবৃতিতে বলেন, ‘আর্টিস্টস ফোরামের ইচ্ছাকৃত আপত্তিতে বুধবার থেকে শুট করতে পারছি না। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, দেশে করোনা পরিস্থিতি থাকাকালীন আমরা শুট করব না।’
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের বয়স ৭৫ পেরিয়েছে, এ পর্যন্ত তাঁদের মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ। ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে এই হার কিছুটা কম হলেও তা নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অথচ আনলক ওয়ানে অনেকেই পথেঘাটে বেরোতে শুরু করেছেন, যে দলে রয়েছেন ষাটোর্ধ্বরাও। এই অবস্থায় প্রবীণদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁদের মধ্যে একাংশ পুরোদস্তুর কাজেও ফিরেছেন। তবে সব মিলিয়ে কলকাতা পুলিশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। যে কারণে বাহিনীর মধ্যে আতঙ্কের সঙ্গে চোরা অসন্তোষও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাহিনীর অফিসার ও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে সর্বশক্তি দিয়ে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। মঙ্গলবার বাংলায় লেখা একটি বার্তা তিনি দেন পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের উদ্দেশে।
Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/others/coronavirus-cases-disease-deaths-in-west-bengal-kolkata-howrah-hooghly-live-updates/articleshow/76293753.cms