নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে বসানো নিয়ে মামলা হাইকোর্টের দিকেই বল ঠেলে দিল শীর্ষ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এই মামলায় রায় দেবে হাইকোর্টই। তবে মামলাটির যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ফলে বলাইবাহুল্য, আপাতত স্বস্তিতে রাজ্য সরকার।
৭ মে হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাস কী রায় দেয়?
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুর নিগমের প্রশাসক বোর্ডকে ‘কেয়ারটেকার বোর্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করে কলকাতা হাইকোর্ট। তাদের এক মাসের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। মে মাসের ৭ তারিখ কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর বিচারপতি আইপি মুখার্জির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, অর্ডিন্যান্স করে এই সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হত। অর্থাত্ কলকাতা হাইকোর্ট করোনা সংক্রান্ত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রশাসক বোর্ডকে কেয়ারটেকার হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে ২০ জুলাই পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
মামলাকারী যে দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন?
মূলত এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শরদকুমার সিং। সুপ্রিম কোর্টেও তিনি দাবি করেন, কলকাতা পুরসভা এভাবে প্রশাসক নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানের পরিপন্থী। কলকাতা পুর আইনে (১৯৮০) প্রশাসক বসানোর কোন সংস্থান না থাকলেও করোনা ভাইরাস বা মহামারিকে ঢাল করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা পুর আইন অনুযায়ী একটি বোর্ডের কার্যকাল পাঁচ বছর। কিন্তু এক্ষেত্রে ‘রিম্যুভাল অফ ডিফিকাল্টিস’ অ্যাক্ট প্রয়োগ করে আদতে পুরো বোর্ডের কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক: মুখ্যমন্ত্রী
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ
মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর মামলা দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি হোক হাইকোর্টেই।’
Source: https://zeenews.india.com/bengali/kolkata/the-supreme-court-has-returned-the-case-to-the-high-court-saying-that-the-complexity-of-the-appointment-of-calcutta-municipal-administrator-should-be-resolved-expeditiously_318848.html