উম্পুন মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা, চালু হেল্পলাইন – এই সময়

কলকাতা নিউজ

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়ত বলে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের আতঙ্ক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর কলকাতা পুরসভা। পুরসভায় কেন্দ্রীয়ভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। যে কোনও বিপদে (033) 2286-1212 নম্বরে ফোন করলে সহায়তা পাওয়া যাবে।

এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে নিকাশি, বিল্ডিং, লাইটিং দফতরকে বিশেষ তৎপর হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সিইএসসির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্যোগের সময় যাতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এদিন পাম্পিং স্টেশনগুলি ঘুরে দেখেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর নিকাশি বিভাগের সদস্য তারক সিং। সেগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। যে সমস্ত পাম্পের অবস্থা ভালো নয় জরুরি ভিত্তিতে সেগুলিকে মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে পাম্পিং স্টেশনের সংখ্যা ৭৩টি। প্রতিটিতে গড়ে ৩ টি করে পাম্প আছে। আর বড় মাপের পাম্পিং স্টেশন ৫টি। এগুলি হল মানিকতলা, ধাপা, পালমের ব্রিজ, বালিগঞ্জ এবং কুঁদঘাট। বড় ৫টি পাম্পিং স্টেশনের প্রতিটি ২ ঘন্টায় ৫৪ কিউসেক জল বার করার ক্ষমতা রাখে। বাকিগুলির ক্ষমতা ২ ঘন্টায় ৫ থেকে ৮ কিউসেক জল বার করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন: উপকূল থেকে সরানো হচ্ছে ২ লাখ মানুষকে, আতঙ্ক দীঘা-সুন্দরবনে!

এদিকে, উম্পুনের সময় যে কোনও ধরণের প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে শহরে যে সমস্ত পুরনো ও ভগ্নপ্রায় বাড়ি রয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের পুরসভার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিয়ে সরিয়ে ফেলার কথা চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে ওই সমস্ত বাড়ির সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলা জন্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

ঝড়ের সময় গাছ ভেঙে পড়লে সেগুলি কেটে পরিষ্কার করার জন্য পুরসভায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি টিম থাকছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বোরোতে একটা করে এই ধরনের টিম থাকবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে উম্পুন শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে। গভীর সমুদ্রে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৫ কিলোমিটার হতে পারে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় শক্তি কিছুটা কমবে। তবে তা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে। জানা যাচ্ছে, দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। সুন্দরবনে সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তথ্য সহায়তা: শ্যামগোপাল রায়

Source: https://eisamay.indiatimes.com/west-bengal-news/kolkata-news/cyclone-amphan-west-bengal-update-kolkata-municipal-corporation-opens-healpline-for-cyclone-amphan/articleshow/75808621.cms