কলকাতা–দিল্লি করোনা যুদ্ধ শুরু – Prothom Alo কলকাতা নিউজ April 22, 2020Rangan Chatterjee াইরােসর সংক্রমণ নিয়ে পরস্পর বিপরীত অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার ও প্রধানমন্দ্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার। আগেই অভিযোগ ওঠে, পশ্চিমবঙ্গে যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না লকডাউন। মমতার সরকার আড়াল করছে করোনায় এই রাজ্যে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় এখনো বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমণ। বিরোধী বিজেপির আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকারও সামাল দিতে পারছে না লকডাউনকে। অনেক এলাকায় লকডাউন ভাঙা হচ্ছে। ব্যাংকের মাধ্যমে গরিবদের দেওয়া অর্থ, রেশনে দেওয়া চাল-গম তুলতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে অমান্য হচ্ছে লকডাউন। কাঁচাবাজার, মাছের বাজারে এই লকডাউন ভাঙার ছবি নিয়মিত আসছে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আপত্তি তোলেন বিজেপির নেতারা। যদিও করোনায় রাজ্যের মৃত্যুর হার ও আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আড়াল করার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলাও হয়। অভিযোগ ওঠে, এই লকডাউন ভাঙার জন্য এই রাজ্যে আরও ব্যাপক হারে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। রাজ্য সরকার শক্ত হাতে লকডাউন কার্যকর করার জন্য উঠেপড়ে লাগলেও বহু স্থানে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ এখনো আসছে। এসব অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রকৃত ঘটনা যাচাই করতে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে দুটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠায়। একটি যায় উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে আর অন্যটি চলে আসে কলকাতায়। কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের দুটি দল গঠন করা হয়। দুটি দল এসে ওঠে বিএসএফ এবং এসএসবির অতিথিশালায়। কলকাতার দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র। দ্বিতীয় দলটি ওঠে শিলিগুড়ির এসএসবির অতিথিশালায়। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে ৭টি জেলাকে চিহ্নিত করেছে সংক্রমিত জেলা হিসেবে। এগুলো রেড জোন। এই ৭টি জেলা হলো কলকাতা, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা। এখানের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখার জন্যই এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারে দুটি বিশেষজ্ঞ দল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে এই বিশেষজ্ঞ দল। দুটি দল পশ্চিমবঙ্গের সাতটি সংক্রমিত জেলায় গিয়ে সরেজমিন দেখবে করোনা পরিস্থিতি। তারা করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা, লকডাউন ভাঙার নানা অভিযোগও খতিয়ে দেখবে। পশ্চিমবঙ্গে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, ‘এটা আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপের শামিল। কিসের ভিত্তিতে পাঠানো হলো এ বিশেষজ্ঞ দল? রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে এভাবে দল পাঠানো অনুচিত। এটা মানা যায় না।’এই দল আসার পর এই দল পাঠানোর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দেন মমতা। রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, ‘অমরা ওই প্রতিনিধিদলকে ঘুরতে দেব না। ফলে শুরু হয়ে যায় করোনা নিয়ে দিল্লি আর কলকাতার মধ্যে কলমি যুদ্ধ। তার ছবিও ধরা পড়ে গতকালই। গতকাল কলকাতার প্রতিনিধিদল করোনায় আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণে যেতে চাইলে আপত্তি ওঠে রাজ্য সরকারের তরফে। প্রতিনিধিদল গাড়ি নিয়ে পথে বের হতে চাইলে তাদের বলা হয় লকডাউন চলছে। ফলে তারা ফিরে যায় অতিথিশালায়। এরপর রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বিএসএফের অতিথিশালায় গিয়ে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলেন। Source: https://www.prothomalo.com/international/article/1652401/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E2%80%93%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81