কলকাতা ও হাওড়ায় বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা – Prothom Alo কলকাতা নিউজ April 19, 2020Rangan Chatterjee পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলায় করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে এলেও বেড়েছে কলকাতা এবং হাওড়া জেলায়। এখানে এখনো অনেক মানুষ মানছে না লকডাউন। বিষয়টি জানতে পেরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে রাজ্যজুড়ে কড়াভাবে লকডাউন কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার যেসব এলাকায় লকডাউন মানা হয়নি, সেখানে নামানো হয়েছে সশস্ত্র পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, র্যাফ ইত্যাদি। গতকাল হাওড়ায় লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে ৩৪২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলায় করোনার সংক্রমণ না থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। মৃত মানুষের সংখ্যা ২ জন বেড়ে হয়েছে ১২। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৮। এখনো রাজ্যের সরকারি কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৮ জন আর হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩৫ হাজার ২০৯ জন। জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। এর আগে গত শুক্রবার মুখ্য সচিব জানিয়েছিলেন, আগের ২৪ ঘণ্টায় কোনো সংক্রমণ হয়নি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায়। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু এবং আক্রান্ত হওয়ার সঠিক তথ্য এড়ানো, গরিবদের রেশন আত্মসাৎ, রেশন প্রদানে দলবাজি, রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়া, সঠিকভাবে করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা না করা, পরীক্ষার নামে বিলম্বিত করাসহ নানা অভিযোগ তুলে বাম নেতা-কর্মীরা এক প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন। গতকাল কলকাতার ধর্মতলার রেড রোডে বামফ্রন্টের উদ্যোগে এই প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শামিল হন নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ২ থেকে ৩ মিটার দূরত্ব রেখে দাঁড়ান। প্রতিবাদকারীরা অবিলম্বে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন। এ সময় লকডাউনের মধ্যে প্রতীকী আন্দোলন করার অভিযোগে পুলিশ বামফ্রন্টের ২৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজার পুলিশ হেড কোয়ার্টারে। সেখানে পুলিশ নেতাদের জামিনে ছেড়ে দিতে চাইলে তাতে রাজি হননি নেতারা। অগত্যা পুলিশ তাদের বিনা শর্তে ছেড়ে দেন। গ্রেপ্তার হওয়া এই ২৪ নেতার মধ্যে ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য ও সাবেক সাংসদ মহম্মদ সেলিম, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাম দলের পরিষদীয় নেতা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী, ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরএসপি নেতা নেতা মনোজ ভট্টাচার্য প্রমুখ। পরে মুখ্যমন্ত্রী রেশন নিয়ে নানা দুর্নীতির খবর পেয়ে রাজ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মুখ্য সচিবকে অপসারণ করেন। এদিকে এই লকডাউনের মধ্যে গতকাল দুপুরে জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় কারাগারে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন কারাবন্দীরা। তাঁরা একপর্যায়ে পাঁচ কারারক্ষীকে আটক করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হামলা চালান কারাগারে। ভেঙে দেন সিসিটিভি ক্যামেরা। বিকেলে পুলিশ সুপার কারাগারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মুক্ত করেন পাঁচ কারারক্ষীকে। Source: https://www.prothomalo.com/international/article/1651781/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE