Published by: Sayani Sen | Posted: April 1, 2020 12:17 pm| Updated: April 1, 2020 12:21 pm
অর্ণব আইচ: দিল্লির জমায়েতের ঘটনা সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩৯ জন বিদেশি ধর্মপ্রচারক-সহ মোট ৫৩ জনকে উদ্ধার করা হল। তাঁদের প্রত্যেককেই রাজারহাট হজ হাউসে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ধর্মপ্রচারকদের দাবি, লকডাউনের ফলেই কলকাতায় এসে আটকে পড়েছেন তাঁরা। তবে ওই ধর্মপ্রচারকদের দাবির আদৌ কোনও সত্যতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা মঙ্গলবার রাতে একাধিক জায়গায় হানা দেয়। তল্লাশি অভিযানে নারকেলডাঙার এক ধর্মস্থল থেকে মোট ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই দলের সদস্যরা কেউ ২৪ বছর বয়সি, তো আবার কেউ ৬৮ বছর বয়সি। তাঁরা প্রত্যেকেই থাইল্যান্ড থেকে এসেছেন। মায়ানমার থেকে আসা মোট ১৩ জন ধর্মপ্রচারককে জোড়াসাঁকো থানা এলাকার ধর্মস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। গার্ডেনরিচের এক ধর্মস্থান থেকে মোট ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৯ জন মালয়েশিয়া এবং ৪ জন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা। দিল্লি থেকে আসা ৪ জনকে নিউমার্কেট থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এছাড়াও ৬ জন ভারতীয় গাইডেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককেই রাজারহাটের হজ হাউসে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে মিলল পরীক্ষার রিপোর্ট, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধির আশঙ্কা]
গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা আটক হওয়া ওই ধর্মপ্রচারকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ধর্মপ্রচারকদের দাবি, লকডাউনের জেরে কলকাতায় এসে আটকে গিয়েছেন তাঁরা। তবে বিদেশ থেকে আসলেও কারও কাছে দেশে ফেরত যাওয়ার কোনও টিকিট নেই। জানা গিয়েছে, লকডাউনে আটকে পড়লেও দূতাবাস কিংবা সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেননি ওই ধর্মপ্রচারকরা। তাই আদৌ ওই ধর্মপ্রচারকদের দাবি সত্যি কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। গোয়েন্দা আধিকারিকরা কোয়ারেন্টাইনে রেখেই ধর্মপ্রচারকদের সম্পর্কে তথ্যের খোঁজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পরিকাঠামোহীন আইসোলেশন ওয়ার্ড রেলের, নিশ্চিত মৃত্যুর ফাঁদ বলে অভিযোগ কর্মী সংগঠনের]
Highlights
Source: https://www.sangbadpratidin.in/kolkata/39-muslim-evangelists-detained-from-kolkata-they-are-in-quarantine/